লাইফ স্টাইল লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
লাইফ স্টাইল লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

ভাইভা বোর্ডে আপনাকে যেসব প্রশ্ন করা হতে পারে....সেগুলো জেনে নিন

এক একটি পরীক্ষার ভাইভার ধরন এক এক রকম। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির ভাইভার প্রশ্ন এক রকম আবার ক্যাডেট কলেজে ভর্তির ভাইভার ধরন এক রকম। বিসিএস পরীক্ষার ভাইভার ধরন সম্পূর্ন আলাদা। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি, ক্যাডেট কলেজে ভর্তি আর্মির আইএসএসবির ভাইভা এবং বিসিএস পরীক্ষার ভাইভার সহায়িকা গাইড গুলোতে নমুনা প্রশ্ন দেওয়া আছে। এখানে শুধু কোম্পানী এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে (চাকরির ক্ষেত্রে) কেমন প্রশ্ন করা হয় তার কিছু নমুনা প্রশ্ন দেওয়া হল। (প্রশ্ন গুলো নেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের বিখ্যাত কোম্পানীর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজারগনের নিকট থেকে এবং আমেরিকার মেরিল্যান্ড ইউনিভারসিটির প্রফেসর উইলিয়াম জি.নিকেলস্ এবং ফরেস্ট পার্কের সেন্ট লুইস কমিউনিটি কলেজের প্রফেসর জেমস এম মেকহিউগ এবং সুসান এম মেকহিউগ এর বই থেকে। এছাড়াও কিছু প্রশ্ন নেয়া হয়েছে আমেরিকার নর্থ ওয়েস্ট ইউনিভারসিটির জব প্লেসমেন্ট অফিসার ফ্র্যান্ক এস এন্ডিকড এর রিসোর্স পেপার থেকে)। বর্তমানে যারা চাকরি প্রার্থী এবং যারা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে পড়ছেন তাদের ভাইভা সচেতন এবং নমুনা প্রশ্ন সম্পর্কে ধারণা রাখার জন্য প্রশ্নগুলো ইংরেজিতে দেওয়া হল যাতে প্রার্থীরা নিজেদেরকে সেভাবেই প্রস্তুত করতে পারেন।



1.How would you describe yourself? Introduce yourself?

2. What are your hobbies?

3.How did you choose this company?

4.What are your long-range career goals?

5.What experience have you had in this type of work?

6.Which accomplishments have given you the most satisfaction?

7.Why did you decide to go to this particular discipline/field/subject /profession?

8.How did you spend your vacation while in university?

9.Are you willing to travel (or move)?


10.Why should we hire you?

11.What things are the most important to you in a job?

12.Who is your favorite person?

13.Tell us an interesting story/memorable event of your life?

14. In what type of position are you most interested?

15. Why do you think you might like to work for our Company?

16. What courses did you like best? Least? Why?

17. What do you know about our company?

18. What qualifications do you have that make you feel that you will be successful in your field?

19. What extracurricular offices have you held?

20. What are your ideas on salary? How much money do you hope to earn at age 30? 40?

21. How do you feel about your family?

22. Do you prefer any specific geographic location? Why?

23. What personal characteristics are necessary for success in your chosen Field?

24. What is your father’s occupation?

25. Are you looking for a permanent or temporary job?

26. Do you prefer working with others or by yourself?

27. What kinds of boss do you prefer?

28. Can you take instructions without feeling upset?

29. How did previous employers treat you?

30. Can you get recommendations from previous employers?

31. Do you like routine work?

32. Are you willing to go where the company sends you?

33. What is your greatest strengths and weakness?

34. What jobs have you enjoyed the most? The least? Why?

35. Would you prefer a large or a small company? Why?

36. Are you interested in research?

37. To what extent do you smoke?

If you will take the time necessary to write out brief answers to each of the questions on above mentioned list, it will help you to clarify your own thinking and establish ready answers.

পরবর্তীতে ভাইভার পোশাক ও আদব কায়দা সম্পর্কে লেখার চেষ্টা করব।
কেমন হয়েছে জানাবেন...

বাংলাদেশে বিশেষত ঢাকা শহরে বড় কোন ভূমিকম্প হলে পরিস্থিতি কী হবে, সেটা চিন্তা করতেও ভয় লাগে। ভূমিকম্পের সময় জান বাঁচানোর জন্য কী করণীয় সে সম্পর্কে কিছু টিপস দিলাম।এগুলো অনেক ওয়েবসাইট ঘেটে নানা জনের ব্লগ থেকে সংগ্রহ করেছি।


১। আমেরিকান রেডক্রসের পরামর্শ অনুযায়ী- ভূমিকম্পের সময় সবচেয়ে উত্তম পন্থা হল ‘ড্রপ-কাভার-হোল্ড অন’ বা ‘ডাক-কাভার’ পদ্ধতি। অর্থাৎ কম্পন শুরু হলে মেঝেতে বসে পড়ুন, তারপর কোন শক্ত টেবিল বা ডেস্কের নীচে ঢুকে কাভার নিন, এমন ডেস্ক বেছে নিন বা এমনভাবে কাভার নিন যেন প্রয়োজনে আপনি কাভারসহ মুভ করতে পারেন। তাদের মতে, ভূমিকম্পে আমেরিকার খুব কম বিল্ডিংই কলাপস করে; যেটা হয় তা হল আশেপাশের বিভিন্ন জিনিষ বা ফার্নিচার গায়ের উপর পড়ে নেক-হেড-চেস্ট ইনজুরি বেশি হয়। তাই এগুলো থেকে রক্ষার জন্য কোন শক্ত ডেস্ক বা এরকম কিছুর নীচে ঢুকে কাভার নেয়া বেশি জরুরী। অপরদিকে উদ্ধার কর্মীর মতে বিল্ডিং কলাপস করলে ‘ডাক-কাভার’ পদ্ধতি একটি মরণ-ফাঁদ হবে। সেটা না করে কোন বড় অবজেক্ট যেটা কম কম্পপ্যাক্ট করবে যেমন সোফা ইত্যাদির পাশে আশ্রয় নিলে যে void তৈরী হবে, তাতে বাঁচার সম্ভাবনা বেশী থাকবে। এখন রেড ক্রস কিন্তু এই ভয়েড বা এর ব্যাপারটা অস্বীকার করে নি। কিন্তু যেহেতু আমেরিকায় বিল্ডিং কলাপ্স হবার সম্ভাবনা কম, তাই তাদের ‘ড্রপ-কাভার-হোল্ড অন’ পদ্ধতিই বিভিন্ন বস্তুর আঘাত থেকে রক্ষা পাবার জন্য সবচেয়ে উত্তম। দু’টো ব্যাপারই তাই মাথায় রাখুন।


২। উদ্ধার কর্মীরা আরো লক্ষ্য করেছেন- বিল্ডিং ভেঙ্গে পড়ার সময় সিলিং যখন কোন অবজেক্টের ওপর পড়ে একে গুঁড়িয়ে দেয়, ঠিক তার পাশেই ছোট্ট একটি খালি জায়গা বা void-এর সৃষ্টি হয়। একে তারা বলছেন ‘সেফটি জোন’ বা ‘ট্রায়াঙ্গল অফ লাইফ’। তাই ভূমিকম্পের সময় বড় কোন সোফা বা বড় কোন অবজেক্ট যেটা কম কম্প্রেস করবে- এরকম কিছুর পাশে আশ্রয় নিলে বাঁচার সম্ভাবনা বেশি থাকে। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য ছোট্ট একটু void-ই যথেষ্ট। বিপন্ন অবস্থায় কুকুর, বিড়াল এবং শিশুদের একটা সহজাত প্রবৃত্তি হল কুন্ডলি করে গুটিশুটি হয়ে যাওয়া। ভূমিকম্পের সময় মানুষেরও এটা অনুসরণ করা উচিত। তাহলে বিভিন্ন অবজেক্টের পাশে গুটিশুটি করে আশ্রয় নিলে এগুলো ভূমিকম্পের সময় যে ছোট void-এর সৃষ্টি করবে তাতে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বেশি থাকবে।

৩। রাতের বেলা ঘুমানোর সময় ভুমিকম্প হলে কোন হুড়াহুড়ি করার দরকার নেই। গড়িয়ে মেঝেতে কুন্ডলি পাকিয়ে শুয়ে পড়ুন বিছানাকে ঢাল বানিয়ে। তার মানে আবার বিছানার নীচে যেন ঢুকবেন না, বিছানার পাশে আশ্রয় নিন। তেমনি ভূমিকম্পের সময় জানালা বা বারান্দা দিয়ে লাফ দেয়া এসবও করবেন না। কোন সোফা বা দুই নাম্বার পয়েন্টে যেভাবে বলেছি সেভাবে ঘরের মধ্যেই কোন অবজেক্টের পাশে আশ্রয় নিন।

৪। অনেককে বলতে শুনেছি ভূমিকম্পের সময় দরজার নীচে আশ্রয় নিলে নাকি বাঁচার সম্ভাবনা বেশি থাকে! দরজার নীচে বা পাশে থাকলে নির্ঘাত মারা পড়বেন। যদি দরজার নীচে থাকেন তবে সিলিং-এর নীচে চাপা পড়ে মারা পড়বেন আর যদি পাশে থাকেন দরজা আপনাকে দু’ভাগ করে কেটে ভেঙ্গে পড়বে।

৫। ভূমিকম্পের সময় কখনই সিঁড়িতে আশ্রয় নেবেন না। সিঁড়ির ‘মোমেন্ট অফ ফ্রিকোয়েন্সী’ বিল্ডিং-এর চাইতে ভিন্ন হয় এবং অনেক সময় বিল্ডিং ভেঙ্গে না পড়লেও সিঁড়ি দ্রুত ভেঙ্গে পড়ে।

৬। চেষ্টা করুন বাসার একেবারে ভিতরের দিকের রুমে না থেকে বাইরের ওয়ালের কাছাকাছি আশ্রয় নিতে। বিল্ডিং-এর ভেতরের দিকে থাকলে সবকিছু ভেঙ্গে পড়ার পর আপনার ‘উদ্ধার পাবার রাস্তা’ ব্লক হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে। বাইরের ওয়ালের কাছাকাছি থাকলে ব্লক কম থাকবে, তাড়াতাড়ি উদ্ধার পাবার সম্ভাবনাও বেশি থাকবে।



৭। বড় ভূমিকম্পের পরপরই আরেকটা ছোট ভূমিকম্প হয় যেটাকে ‘আফটার শক’ বলে। এটার জন্যও সতর্ক থাকুন, না হলে পচা শামুকেই শেষমেষ পা কাটতে হতে পারে।

৮। প্রথম ভূমিকম্পের পর ইউটিলিটি লাইনগুলো (গ্যাস, বিদ্যুত ইত্যাদি) একনজর দেখে নিন। কোথাও কোন লিক বা ড্যামেজ দেখলে মেইন সুইচ বন্ধ করে দিন

সবচেয়ে বড় কথা একটি ভূমিকম্পের সময় যেটুকু সময় পাওয়া যায় সেসময় মাথা ঠান্ডা রাখা অসম্ভব হয়ে। কিন্তু আমাদের চেষ্টা করতে হবে।


ভালো থাকবেন। আপনার কোন মতামত থাকলে জানাবেন।বাংলাদেশে বিশেষত ঢাকা শহরে বড় কোন ভূমিকম্প হলে পরিস্থিতি কী হবে, সেটা চিন্তা করতেও ভয় লাগে। ভূমিকম্পের সময় জান বাঁচানোর জন্য কী করণীয় সে সম্পর্কে কিছু টিপস দিলাম।এগুলো অনেক ওয়েবসাইট ঘেটে নানা জনের ব্লগ থেকে সংগ্রহ করেছি।


১। আমেরিকান রেডক্রসের পরামর্শ অনুযায়ী- ভূমিকম্পের সময় সবচেয়ে উত্তম পন্থা হল ‘ড্রপ-কাভার-হোল্ড অন’ বা ‘ডাক-কাভার’ পদ্ধতি। অর্থাৎ কম্পন শুরু হলে মেঝেতে বসে পড়ুন, তারপর কোন শক্ত টেবিল বা ডেস্কের নীচে ঢুকে কাভার নিন, এমন ডেস্ক বেছে নিন বা এমনভাবে কাভার নিন যেন প্রয়োজনে আপনি কাভারসহ মুভ করতে পারেন। তাদের মতে, ভূমিকম্পে আমেরিকার খুব কম বিল্ডিংই কলাপস করে; যেটা হয় তা হল আশেপাশের বিভিন্ন জিনিষ বা ফার্নিচার গায়ের উপর পড়ে নেক-হেড-চেস্ট ইনজুরি বেশি হয়। তাই এগুলো থেকে রক্ষার জন্য কোন শক্ত ডেস্ক বা এরকম কিছুর নীচে ঢুকে কাভার নেয়া বেশি জরুরী। অপরদিকে উদ্ধার কর্মীর মতে বিল্ডিং কলাপস করলে ‘ডাক-কাভার’ পদ্ধতি একটি মরণ-ফাঁদ হবে। সেটা না করে কোন বড় অবজেক্ট যেটা কম কম্পপ্যাক্ট করবে যেমন সোফা ইত্যাদির পাশে আশ্রয় নিলে যে void তৈরী হবে, তাতে বাঁচার সম্ভাবনা বেশী থাকবে। এখন রেড ক্রস কিন্তু এই ভয়েড বা এর ব্যাপারটা অস্বীকার করে নি। কিন্তু যেহেতু আমেরিকায় বিল্ডিং কলাপ্স হবার সম্ভাবনা কম, তাই তাদের ‘ড্রপ-কাভার-হোল্ড অন’ পদ্ধতিই বিভিন্ন বস্তুর আঘাত থেকে রক্ষা পাবার জন্য সবচেয়ে উত্তম। দু’টো ব্যাপারই তাই মাথায় রাখুন।

২। উদ্ধার কর্মীরা আরো লক্ষ্য করেছেন- বিল্ডিং ভেঙ্গে পড়ার সময় সিলিং যখন কোন অবজেক্টের ওপর পড়ে একে গুঁড়িয়ে দেয়, ঠিক তার পাশেই ছোট্ট একটি খালি জায়গা বা void-এর সৃষ্টি হয়। একে তারা বলছেন ‘সেফটি জোন’ বা ‘ট্রায়াঙ্গল অফ লাইফ’। তাই ভূমিকম্পের সময় বড় কোন সোফা বা বড় কোন অবজেক্ট যেটা কম কম্প্রেস করবে- এরকম কিছুর পাশে আশ্রয় নিলে বাঁচার সম্ভাবনা বেশি থাকে। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য ছোট্ট একটু void-ই যথেষ্ট। বিপন্ন অবস্থায় কুকুর, বিড়াল এবং শিশুদের একটা সহজাত প্রবৃত্তি হল কুন্ডলি করে গুটিশুটি হয়ে যাওয়া। ভূমিকম্পের সময় মানুষেরও এটা অনুসরণ করা উচিত। তাহলে বিভিন্ন অবজেক্টের পাশে গুটিশুটি করে আশ্রয় নিলে এগুলো ভূমিকম্পের সময় যে ছোট void-এর সৃষ্টি করবে তাতে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বেশি থাকবে।

৩। রাতের বেলা ঘুমানোর সময় ভুমিকম্প হলে কোন হুড়াহুড়ি করার দরকার নেই। গড়িয়ে মেঝেতে কুন্ডলি পাকিয়ে শুয়ে পড়ুন বিছানাকে ঢাল বানিয়ে। তার মানে আবার বিছানার নীচে যেন ঢুকবেন না, বিছানার পাশে আশ্রয় নিন। তেমনি ভূমিকম্পের সময় জানালা বা বারান্দা দিয়ে লাফ দেয়া এসবও করবেন না। কোন সোফা বা দুই নাম্বার পয়েন্টে যেভাবে বলেছি সেভাবে ঘরের মধ্যেই কোন অবজেক্টের পাশে আশ্রয় নিন।

৪। অনেককে বলতে শুনেছি ভূমিকম্পের সময় দরজার নীচে আশ্রয় নিলে নাকি বাঁচার সম্ভাবনা বেশি থাকে! দরজার নীচে বা পাশে থাকলে নির্ঘাত মারা পড়বেন। যদি দরজার নীচে থাকেন তবে সিলিং-এর নীচে চাপা পড়ে মারা পড়বেন আর যদি পাশে থাকেন দরজা আপনাকে দু’ভাগ করে কেটে ভেঙ্গে পড়বে।

৫। ভূমিকম্পের সময় কখনই সিঁড়িতে আশ্রয় নেবেন না। সিঁড়ির ‘মোমেন্ট অফ ফ্রিকোয়েন্সী’ বিল্ডিং-এর চাইতে ভিন্ন হয় এবং অনেক সময় বিল্ডিং ভেঙ্গে না পড়লেও সিঁড়ি দ্রুত ভেঙ্গে পড়ে।

৬। চেষ্টা করুন বাসার একেবারে ভিতরের দিকের রুমে না থেকে বাইরের ওয়ালের কাছাকাছি আশ্রয় নিতে। বিল্ডিং-এর ভেতরের দিকে থাকলে সবকিছু ভেঙ্গে পড়ার পর আপনার ‘উদ্ধার পাবার রাস্তা’ ব্লক হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে। বাইরের ওয়ালের কাছাকাছি থাকলে ব্লক কম থাকবে, তাড়াতাড়ি উদ্ধার পাবার সম্ভাবনাও বেশি থাকবে।

৭। বড় ভূমিকম্পের পরপরই আরেকটা ছোট ভূমিকম্প হয় যেটাকে ‘আফটার শক’ বলে। এটার জন্যও সতর্ক থাকুন, না হলে পচা শামুকেই শেষমেষ পা কাটতে হতে পারে।

৮। প্রথম ভূমিকম্পের পর ইউটিলিটি লাইনগুলো (গ্যাস, বিদ্যুত ইত্যাদি) একনজর দেখে নিন। কোথাও কোন লিক বা ড্যামেজ দেখলে মেইন সুইচ বন্ধ করে দিন

সবচেয়ে বড় কথা একটি ভূমিকম্পের সময় যেটুকু সময় পাওয়া যায় সেসময় মাথা ঠান্ডা রাখা অসম্ভব হয়ে। কিন্তু আমাদের চেষ্টা করতে হবে।

অনলাইনে জিডি করার পদ্ধতি

জিডি শব্দটি জেনারেল ডায়েরীর সংক্ষিপ্ত রুপ। প্রতিটি থানায় এবং ফাঁড়িতে একটি ডায়েরীতে ২৪ ঘন্টার খবর রেকর্ড করা হয়। প্রতিদিন সকাল ৮:০০ ঘটিকায় ডায়েরী খুলে পরের দিন সকাল ৮:০০ ঘটিকায় বন্ধ করা হয়। অর্থাৎ কার্যত এটি কখনই বন্ধ হয় না।
এই ডায়েরীতে থানার বিভিন্ন কার্যক্রম যেমন-আসামী কোর্টে চালান দেয়া, এলাকার বিভিন্ন তথ্য, থানার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আগমন ও প্রস্থানের তথ্য ইত্যাদি লিপিবদ্ধ থাকে।
সাধারণ মানুষের কাছে জিডির গুরুত্ব
সাধারণ মানুষের কাছে জিডির গুরুত্ব ভিন্ন। কোন থানায় মামলাযোগ্য নয় এমন ঘটনা ঘটলে মানুষ থানায় জিডি করে থাকেন। আবার কাউকে ভয় ভীতি দেখানো হলে বা অন্য কোন কারণে যদি তিনি নিরাপত্তার অভাব বোধ করেন, কিংবা কোন ধরনের অপরাধের আশঙ্কা করেন তাহলেও তিনি জিডি করতে পারেন। জিডি করার পর পুলিশ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে থাকে। প্রয়োজনবোধে তদন্ত করা, নিরাপত্তা দেয়া ছাড়াও জিডির বিষয়টি মামলাযোগ্য হলে পুলিশ মামলা করে থাকে। আইনগত সহায়তা পাওয়ার জন্য জিডি অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। অনেক সময় আদালতেও জিডিকে সাক্ষ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
জিডি করা
থানার ডিউটি অফিসার জিডি নথিভুক্ত করেন। এক্ষেত্রে তিনি একটি ডায়েরীতে জিডির নম্বরসহ বিভিন্ন তথ্য লিপিবদ্ধ করেন। জিডির দুটি কপি করা হয়। একটি থানায় সংরক্ষণ করা হয় এবং অন্যটিতে জিডির নম্বর লিখে প্রয়োজনীয় সাক্ষর ও সীলমোহর দেয়া হয়। এটি ভবিষ্যতের জন্য সংরক্ষণ করতে হয়। অভিযোগকারী নিজে জিডি লিখতে পারেন, আবার প্রয়োজনে থানার কর্মকর্তাও লিখে দিয়ে থাকেন। প্রতিটি জিডির বিপরীতে একটি নম্বর দেয়া হয়, ফলে কোন অবৈধ প্রক্রিয়া মাধ্যমে কেউ আগের তারিখ দেখিয়ে জিডি করতে পারেন না।
ইমেইলের মাধ্যমে জিডি করার পদ্ধতি
পুলিশের তাৎক্ষণিক সাড়া দেবার প্রয়োজন নেই এমন ক্ষেত্রে যেমন-পাসপোর্ট হারানো, বখাটে বা মাদক সেবীদের সম্পর্কে তথ্য প্রদান বা এজাতীয় ক্ষেত্রে অনলাইনে জিডি করা যেতে পারেন বা সরাসরি পুলিশ সদরদপ্তরে ফ্যাক্স বা ই-মেইল করতে পারেন। এ পদ্ধতিতে দেশের বাইরে থেকেও জিডি করা সম্ভব। এক্ষেত্রে অনলাইনে জিডি করার পর ই-মেইল বা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জিডি নম্বরটি জিডিকারীকে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
ই-মেইল: bangladesh@police.gov.bd
ফ্যাক্স: +৮৮০-২-৯৫৫৮৮১৮
বাংলাদেশের জিডি সম্পর্কে আরও জানার জন্য এখানে যান

যারা পালিয়ে বিয়ে করতে যাচ্ছেন তাদের জন্য আইনী পরামর্শ


আমাদের দেশের আইন আদালত সম্পর্কে যাদের ধারনা কম তাদের এই লেখা কাজে আসতে পারে। আর এই লেখার উদ্দেশ্য পালিয়ে বিয়ে করতে উথসাহিত করা নয়, বরং পালিয়ে বিয়ে করার পর রিস্কগুলো সম্বন্ধে সাবধান করা।

পালিয়ে বিয়ে করতে গেলে আপনাদের, মুসলিম ছেলে মেয়েদের, অনেকের মনে নানা প্রশ্ন দেখা দেয় যেমন বিয়ের পরে কোনো সমস্যা হবেনাতো বা বিয়েটার বৈধতা কেমন হবে। বিয়েটাই বা কোথায় করতে হবে? কোর্টে নাকি কাজি অফিসে? ছেলেরা ভাবে, মেয়ের বাবা যদি মামলা করে দেয় নারী নির্যাতনের? তাহলে কি জেল টেল খাটতে হবে? ইত্যাদি।

অনেকে ভাবেন এসব ক্ষেত্রে হয়ত কোর্ট ম্যারেজ করতে হবে। কোর্ট ম্যারেজ টার্মটা আমরা প্রায়ই শুনে থাকি। কিন্তু এটা নিয়ে অনেকের এক্টু ভুল ধারনা আছে। অনেকে যারা অভিভাবকের সম্মতি ছাড়া বা পালিয়ে বিয়ে করতে চায় তারা কোর্ট মারেজ করতে যায় বা করতে চায়।



অনেকে মনে করেন কোর্ট ম্যারেজ হয়তো কোর্টে গিয়ে বিয়ে করা। অথবা মাজিস্ট্রেট-এর সামনে বিয়ে করা। আসলে তা নয়। কোর্ট ম্যারেজ করতে হলে আপনাকে যেতে হবে কোন নোটারী পাবলিকের (সরকারী রেজিস্টার্ড উকিল) কাছে। তিনি আপনাদেরকে (বর কনে) ১০০ বা ২০০ টাকার স্ট্যাম্পে একটি হলফনামায় সই করাবেন যাতে লিখা থাকবে আপ্নারা প্রাপ্তবয়স্ক এবং সজ্ঞ্যানে সেচ্ছায় বিয়ে করেছেন।

তার মানে কি দাড়ালো? বিয়ে আপনাদেরকে আগেই করতে হবে। কোথায়? যথারিতি কাজী অফিসে। রেজিস্ট্রী কাবিনমুলে। কাজী অফিসে কাবিননামায় সই করতে হবে । কাজি সাহেবকে আপনাদের এস এস সি-এর সার্টিফিকেট বা ন্যাশনাল আইডি কার্ড দেখাতে হবে বয়স প্রমানের জন্য। বয়স অবশ্যই আঠারো (মেয়ে) ও একুশ (ছেলে) হতে হবে। আর লাগবে দুইজন সাক্ষী। আর অই কাবিননামাই আপনাদের বিয়ের প্রধান আইনী দলিল। আর নোটারী পাব্লিকের কাছে গিয়ে আপনি শুধু অই দলিলের আরও একটা সম্পূরক আইনী দলিল করে রাখলেন ভবিস্যতে মামলা টামলায় একটু সুবিধা পেতে।

তবে জেনে রাখবেন, নোটারী পাবলিকের কাছে করা হলফনামার কোনো দাম নেই যদি আপনার কাবিননামা না থাকে। কাবিননামা থাকলে আপনার বিয়ের পক্ষে আর কোনো ডকুমেন্টই লাগবেনা। কাবিননামাই সব।

এক পক্ষ হিন্দু বা মুসলিম বা অন্য ধ‌র্মের হলেও, ধর্ম পরিবর্তন না করেই বিয়ে করা সম্ভব। (আমি তান্ত্রিক-এর ২২ নং কমেন্ট দেখুন)

বিয়ে হয়ে গেলে অনেকসময় পরে দুই পক্ষের বাবা মা-রা মেনে নেয়, অনেক্সময় মেনে নেয়না। অনেকসময় মেয়ের বাবা ক্ষেপে গিয়ে ছেলের বিরুদ্ধে মামলা করে বসে। মামলাগুলো হয় সাধারনত অপহরনপূরবক ধর্ষনের। এই মামলাগুলোর জামিন বা রিমান্ড শুনানী এবং বিচার হয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে। মামলার ধারাগুলো জামিন-অযোগ্য। এবং আমলযোগ্য, মানে পুলিশ এসব ক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেট বা আদালতের পারমিশন ছাড়াই আসামিকে এরেস্ট করতে পারে। তাই যখন শুনবেন মামলা হয়েসে তখন থেকে কিছুদিন পালিয়ে থাকুন কারন পুলিশ ধরে নিয়ে গেলে কিন্তু প্রথমেই জামিন হবেনা।

আর মানসিকভাবে শক্ত থাকুন, দুজনেই। মামলা (উক্তরূপ) হবার পর তদন্ত শুরু হবে। ভিকটিম (মেয়ের বাবার চোখে মেয়েটি এখানে ভিকটিম)-এর জবানবন্দী দিতে হবে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-এর সামনে। এটি ২২ ধারার জবানবন্দি, ম্যাজিস্ট্রেট-এর চেম্বারে হয়। কেউ কোন প্রভাব খাটাতে পারেনা। এখানে মেয়েকে বলতে হবে, “আমি সেচ্ছায় বিয়ে করেছি। আমাকে কেউ অপহরন করেনি।“ ব্যাস। তাহলে মামলায় পুলিশ আর চার্জশীট দেবেনা। আসামি (ছেলে) অব্যাহতি পাবে।


কক্সবাজার ভ্রমণের সময় সংগ্রহে রাখার মতো গুরুত্বপূর্ণ কিছু ফোন নম্বর 

বান্দরবান শহরের হোটেল এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নম্বরসমূহ নোট করে রাখার জন্যে এখানে ক্লিক করুন। 

সুনামগঞ্জ শহরের হোটেল এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নম্বরসমূহ নোট করে রাখার জন্যে এখানে ক্লিক করুন। 




সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলা ডাকবাংলোতে (সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের) থাকার জন্যে: 
জনাব তাহের, ০১১৯০৯১২৯৫৮ 

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে থাকতে হলে:
১. উপজেলা ডাকবাংলোর কেয়ারটেকার কৃপেশ দাস: 01724968161
২. উপজেলা গেস্টহাউজের জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব আনিসুল হক কে অনুরোধ করতে হবে: 01715172238 

শেরপুরের হোটেল এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নম্বরসমূহ নোট করে রাখার জন্যে এখানে ক্লিক করুন।

বান্দরবানের লামা উপজেলার হোটেল এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নম্বরসমূহ নোট করে রাখার জন্যে এখানে ক্লিক করুন। 

বান্দরবানের আলীকদম উপজেলাতে থাকার জন্য 
জেলা পরিষদ রেস্ট হাউজের কেয়ারটেকার খালেদ সাহেবের ফোন নম্বর: ০১৫৫৮ ৬০৪০৭৫

হবিগঞ্জ শহরে থাকার ভালো হোটেল:
১. হোটেল আমির চাঁদ (হোটেল আমাদ): ০১৭৩২৫২১১৫২
২. হোটেল সোনার তরী: ০১৭১১২৩৩৩৩২

কিশোরগঞ্জ শহরে থাকার ভালো হোটেল: 
১. হোটেল গাঙচিল: ০১৭২৪২৪৫১৫৫, ০১৭১২৭০০৫৮৫
২. 'পপি' এনজিও -এর নিজস্ব আবাসিক ব্যবস্থা 'পার্ট'-এ থাকতে হলে যোগাযোগ করুন: ০১৭১৬৯৫৮৬০৫ (জনাব কাজী মুজাহিদ), ০১৭১০৭৫৪৩৯৯ (সুমন), ০১৭১১৬৮৩১৮২ (মো: শাহাবউদ্দিন, কো-অর্ডিনেটর, পার্ট) 

শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ি উপজেলায় থাকার ভালো হোটেল:
১. এম.এন প্লাজা: ০১৭১১৪৪১৮৮৯

কুড়িগ্রাম শহরে থাকার ভালো হোটেল:
১. হোটেল মেহেদী: ০১৭১১৩৪৮৯১০

শ্রীমঙ্গল বি টি আর আই চা-বাগানের রিসোর্টে থাকতে হলে:
অরুন বাবু (ম্যানেজার): ০১৭১২০১৬০০১
জনাব রফিকুল হক (অ্যাসিস্টেন্ট ডেভলপমেন্ট অফিসার): 01712071502, 01711303777 

গোপালগঞ্জ শহরে থাকার ভালো হোটেল:
১. পলাশ গেস্টহাউজ (মোসলেমউদ্দিন প্লাজা): ০১৭১১১২৬২৮৭, ০১৯২৪৮৭৮০০৮, ০৬৬৮৬১৪৬৫

সিলেট শহরে থাকার ভালো হোটেল: 
১. হোটেল মেট্রো ইন্টারন্যাশনাল (বন্দর, শিশুপার্কের কাছে): ০১৭৩১৫৩৩৭৩৩, +৮৮০৮২১২৮৩৩৪০৪
২. হোটেল নির্ভানা ইন (রামের দিঘির পাড়, মির্জা জাঙ্গাল, সিলেট): +৮৮০৮২১২৮৩০৫৭৬, ০১৭৩০০৮৩৭৯০, ০১৯১১৭২০২১৩, ০১৭১১৩৩৬৭৬১
৩. হোটেল স্টার প্যাসিফিক (ইস্ট দরগাহ গেইট): ০১৭১৩৬৭৪০০৯, ০১৯৩৭৭৭৬৬৩৩, ০৮২১-২৮৩৩০৯১
৪. হোটেল অনুরাগ (ধোপা দীঘি নর্থ): ৭১৫৭১৭, ৭১৪৪৮৯, ০১৭১২০৯৩০৩৯

সুনামগঞ্জের দেরাই উপজেলায় থাকার হোটেল: 
১. হোটেল জাকারিয়া: ০১৭১২৭১৫৯১৬ 

নেত্রকোণার বিরিশিরি-দূর্গাপুরে থাকার ব্যবস্থা:
১. ওয়াই ডব্লিউ সি এ: জনাব মিল্টন: ০১৭২১৩৯৪৩২০
২. ওয়াই ডব্লিউ সি এ: বেবী দিদি: ০১৭১২০৪২৯১৬

নেত্রকোণার খালিয়াজুড়ি উপজেলা ডাকবাংলোতে থাকতে হলে ইউ এন ও কে ফোন দিয়ে অনুরোধ করতে পারেন: ০১৭১৬৩১৮৩১১

নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ এবং বারহাট্টাতে থাকার তেমন কোন ব্যবস্থা নেই। তবে জনাব সজীবকে ফোন করে অনুরোধ করতে পারেন। তিনি একটা ব্যবস্থা করে দিতে পারেন: ০১৭১৪৫৮২৮৯১, ০১৯২২৬১১২৪৪
মোহনগঞ্জে 'শাপলা গেস্ট হাউজ'-এর অবস্থা খুবই খারাপ।

বগুড়া শহরে থাকার জন্য:
হোটেল নাজ গার্ডেন 01715 - 205343, 01913 - 801122

চট্টগ্রাম শহরে থাকার হোটেল:
হোটেল লর্ডস ইন
হোসনা কালাম কমপ্লেক্স (সানমার ওশান সিটির উল্টা দিকে)
সি,ডি,এ এভিনিউ, ইস্ট নাসিরাবাদ, চট্টগ্রাম
ফোন: ৮৮০-৩১-২৫৫২৬৭১-৪
চট্রগ্রাম শহরে থাকার ভালো মানের হোটেলের জন্য ক্লিক করুন 

খুলনা শহরে থাকার ভালো মানের হোটেল:
১. হোটেল রয়্যাল ইন্টারন্যাশনাল: 01190-856013, 01718-679900
২. হোটেল টাইগার গার্ডেন: +880 88041721108
৩. হোটেল ক্যাসেল সালাম: 01711-397607, 880-41-720160, 880-41-730725

সায়েদাবাদ থেকে হবিগঞ্জে যাবার জন্যে: 
১. 'অগ্রদূত' এ.সি বাস সার্ভিস। ফোন: ০১৭১৮৬০০৫৫১
২. দিগন্ত পরিবহন: ০১৭১৫৫৩৯৮০৯

শেরপুর শহরে যাবার জন্য এ.সি বাস: ০১৭৩৪১৯০৬৬৫

হবিগঞ্জ শহরে রেন্ট-এ-কার এর জন্য যোগাযোগ করুন:
জনাব হুমায়ূন: ০১৭২২৯০১০৮০

খাবার হোটেল:
ময়মনসিংহ শহরে খাবার ভালো হোটেল: সারিন্দা: ০১৭১২১২১৪৩৪

এয়ারওয়েজ:
রিজেন্ট এয়ারওয়েজ: +৮৮-০২-৮৯৫৩০০৩

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং শহরে থাকার সুলভ মূল্যের ভালো হোটেল:
১. হোটেল ব্রডওয়ে: ৪, কোচ বিহার রোড, দার্জিলিং, ০৩৫৪-২২৫৩২৪৮, ২২৫৬২৭০, ৯৭৩৩০-২২২০৮

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কালিমপং শহরে থাকার সুলভ মূল্যের ভালো হোটেল:
১. মনোকামনা লজ (এস ডি বি গিরি রোড, কালিমপং-৭৩৪৩০১): ফোন: ৯৮৩২৪৭৮৫৯০ (সুদীপ প্রধান), ০৩৫৫২-২৫৫৩৯৮

কোলকাতা শহরে থাকার ভালো হোটেল:
১. দ্যা অশোকা হোটেল: পি-২৪ ডবসন লেন, হাওড়া-৭১১১০১, ফোন: ৬৬৬-৪২১২/৪৩৪৩/৪৩৩৩/৪২২১/৫২২২/৪৪২০

দিল্লী শহরে থাকার ভালো হোটেল:
১. হোটেল সিয়াল: ৪৩, আরাকাশান রোড, রাম নগর, নিউ দিল্লী-১১০০৫৫, ফোন: ৩৬১০০৯১

চলুন জেনে নেই খাঁটি মধু চিনব কিভাবে



মধু একটি খুব উপকারী খাদ্য, পথ্য ও ঔষধ মধুর গুণের কথা নতুন করে আর বলার কিছু নেই জন্মের পর নানা দাদীরা মখে মধু দেয় নাই এমন লোক খুঁজে পাওয়া কঠিন আজ আমি মধুর গুণের কথা বলব না কারণ মধুর গুণের কথা কম বেশী সকলের জানা বর্তমানে আমরা বাজার থেকে যে মধু কিনে আনি তা যে কতটুকু খাঁটি তা বলা মুশকিল মধুর মধ্যে সাধারণত ভেজাল হিসেবে পানি, চিনি ও আরও অনেক কিছু মেশানো হয় চলুন আমরা জেনে খাঁটি মধু চেনার কিছু উপায় -



ফ্রিজিং পরীক্ষা : মধুকে ফ্র্রিজের মধ্যে রেখে দিন খাঁটি মধু জমবে না ভেজাল মধু পুরাপুরি না জমলেও জমাট তলানী পড়বে


পিঁপড়া পরীক্ষা : এক টুকরা কাগজের মধ্যে কয়েক ফোঁটা মধু নিন তারপর যেখানে পিঁপড়া আছে সেখানে রেখে দিন পিঁপড়া যদি মধুর ধারে কাছে না ঘেসে তবে তা খাঁটি মধু আর পিঁপড়া যদি তা পছন্দ করে তবে মধুতে ভেজাল আছে


চক্ষু পরীক্ষা : খুব অল্প পরিমাণ মধু চোখের ভেতরে দিন যদি মধু খাঁটি হয় তবে প্রথমে চোখ জ্বালাপোড়া করবে ও চোখ থেকে পানি বের হবে এবং খানিক পরে চোখে ঠান্ডা অনুভূতি হবে । (এই পরীক্ষায় অনুসাহিত করছি)


দ্রাব্যতা পরীক্ষা : এক গ্লাস পানি নিয়ে এর মধ্যে এক টেবিল চামচপরিমাণ মধু নিন খুব ধীরে ধীরে গ্লাসটি শেক করুন যদি মধু পানিতে পুরাপুরি দ্রবীভূত হয়ে যায় তবে তা ভেজাল মধু আর মধু যদি পানিতে ছোট ছোট পিন্ডের আকারে থাকে তবে তা খাঁটি মধু

মেথিলেটেড স্পিরিট পরীক্ষা : সমান অনুপাতে মধু এবং মেথিলেটেড স্পিরিট মিশ্রিত করে নাড়াতে থাকুনখাঁটি মধু দ্রবীভুত না হয়ে তলনীতে জমা হবে আর ভেজাল মধু দ্রবীভূত হয়ে মেথিলেটেড স্পিরিটকে মিল্কি করবে


শিখা পরীক্ষা : একটি কটন উয়িক নিয়ে উহার এক প্রান্তকে মধুর মধ্যে ডুবিয়ে নেই তারপর উঠিয়ে হালকা শেক করে নিই একটি মোমবাতি জ্বালিয়ে বা লাইটার জ্বলিয়ে তা আগুনের শিখায় ধরি যদি তা জ্বলতে থাকে তবে মধু খাঁটি আর যদি না জ্বলে তবে মধুতে পানি মেশানো আছে যদি মধুতে অল্প পরিমাণ পানি মেশানো থাকে তবে কটন উয়িক জ্বলতে থাকবে কিন্তু ক্র্যাকলিং সাউন্ড শোনা যাবে


শোষণ পরীক্ষা : কয়েক ফোঁটা মধু একটি ব্লটিং পেপারে নিন ও পর্যবেক্ষণ করুন খাঁটি মধু ব্লটিং পেপার কর্তৃক শোষিত হবে না ভেজাল মধু ব্লটিং পেপারকে আর্দ্র করবে


কলংক পরীক্ষা : একটুকরা সাদা কাপড়ের উপর সামান্য পরিমাণ মধু নিন এবং এবং কিছুক্ষন পর কাপড়টি ধৌত করুন ধোয়ার পর কাপড়টিতে যদি কোন দাগ থাকে তবে মধুতে ভেজাল আছে আর যদি কোন দাগ না থাকে তবে মধু খাঁটি


হানি কম্ব পরীক্ষা : একটি কাঁচের বা সাদা রংয়ের বোলের মধ্যখানে দেড় থেকে দুই চা চামচ (প্লস্টিকের তৈরি) মধু নেই তারপর বোলের চারদিক দিয়ে ধীরে ধীরে ঠান্ডা পানি ঢালতে থাকি যখন পানি মধুকে ঢেকে ফেলবে তখন পানি ঢালা বন্ধ করি তারপর বোলটিকে তুলে ধরে ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে দুই মিনিট ধরে ঘুরাতে থাকি খাঁটি মধু এই মুভমেন্টের পরেও পানিতে দ্রবীভূত হবে না এবং হেক্সাগোনাল আকৃতি ধারণ করবে যা দেখতে প্রায় হানি কম্ব এর মত


১০স্বচক্ষে দেখা পদ্ধতি : এই পরীক্ষগুলো না করেও খাঁটি মধু সম্পর্কে নিশ্চত হতে পারবেন যদি আপনি নিজে উপস্থিত থেকে মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ করে আনতে পারেন

গিটার বাজানোর সহজ A টু Z কৌশল Beginner to Advanced Level



১. গিটার বাজানো শিখতে চাইছেন?
২. জানতে চান গান লিখার সহজ গঠন-নিয়ম?
৩. ধারনা আছে প্রথমে কিভাবে গান সুর করা শুরু করতে হয়?
৫. সহজে মিউজিক বিষয়ক ফ্রি tutorial ভিডিও/বই নামাতে চান?
৬. বিগেনারদের গিটার/গান কম্পেজিশনে কোন ফ্রি সফ্টওয়ারটি প্রয়োজন?
৭. বাংলা ইংরেজি সব ব্যান্ডের গান ট্র্যাক ধরে কি কি কাজ হয়?
ঠিক আছে, সব ইনফো এক সাথে পেতে হলে সময় ধরে মনিটরের সামনে শক্ত করে বসুন!

--------------------------------------------------------------------------

"ইহা একটি গিটার!" বলে শুরু করা গিটার শেখার বই (২৮৬ পাতার) ডাউনলোড করুন। এডভান্স লেভেল পর্যন্ত ইনফো পাবেন (আমার আপলোড করা):
ডাউনলোড করুন গিটার শেখার পুর্নাঙ্গ একটি বই 



ক্লিক করুন Youtube - হাজার হাজার কাজের লিংক পাবেন।
------------------------------------------------------------------------
গিটারের ভাষা (Tablature) শিখাটা জরুরী। উপরের বইটার ৭৩ পাতাতে এ বিষয়ে ইনফো পাবেন।

এই ভিডিওটা দেখুন।
মনে রাখবেন Guitar Tablature থিওরি, ক্লাস ওয়ানের বাচ্চাদের পড়ালেখা থেকে অনেক সহজ!
এক পাতার শিক্ষা
------------------------------------------------------------------------

নতুনদের জন্য মাষ্ট ইউজ এই Guitar Pro 5 সফ্টওয়ারটি নামান। নেট স্লো থাকলে ঢাকার রাইফেল'স স্কয়ার মার্কা যে কোন সপিং মলে থেকে সিডি/ডিভিডিটা কিনতে পাবেন। বলবেন, গানের সফ্টওয়ার দেখান, নাম দেখে খুজে নিবেন। যে কোন গান বিষয়ক কাজ সাপোর্ট দেয়ার জন্য এই সফ্টওয়ারটি কাজে আসবে, মেট্রোনাম থেকে song sketch ইত্যাদি পর্যন্ত। শিক্ষানবীশ গিটার বাদকরাগাতকরা পৃথিবীর বলতে গেলে সব জনপ্রিয় গানের গিটার কর্ড/ট্যাব লেচার/স্টাফ নোটেশন ধরে ধরে প্রতিটি চেন্জ এনালাইসিস করতে পারবেন। সাথে থাকছে ট্র্যাক অনুযায়ী গানের মূল সুরের মেলোডি লাইন, বেস, পারকাশান স্টাডি বোনাস ইত্যাদি। এটা দিয়ে কানাও  সহজ উপায়ে বুঝতে পারবে একটি গানে কি কি কাজ-কম্পোজিশন হয়ে থাকে।
সফ্টওয়ারটি নেট থেকে নামাতে হলে এই ধারাবাহিক ইন্সট্রাকশনগুলো অনুসরণ করুন, আখেরে লাভ আছে, পরে বুঝতে পারবেন :
১. এখান ক্লিক করুন - ৮.৬ মেগাবাইটের সফ্টওয়ারটি "Vuze Free Download" এ ক্লিক করে নামিয়ে, ইন্সটল করুন।
২. এই সাইটে ঢুকে Guitar Pro 5 লিখে সার্চ দিন। এই পেজ পাবেন।
৩. প্রাপ্ত লিস্টের প্রথমটিতেই ক্লিক করে Download.torrent বাটন আসবে, ক্লিক করে নামানো শুরু করুন। (vuze খোলা রাখতে ভুলবেন না এ সময়)।
** এডভান্স রেকোর্ডিং এর সফ্টওয়ার নামাতে - 'Nuendo' recording software

অফ টপিক:
* আপনি ফ্রিতে torrent থেকে মাল-মসল্লা নামানোও শিখে ফেলেছেন। torrent দিয়ে একটু একটু করে অনেক দিন ধরে নামানো যায় (resume support)।

তারপরেও যদি না পারেন সফ্টওয়ারটি যোগাড় করতে, তাহলে নামান:
4shared এ আমার আপলোড করা Guitar Pro 5
USER ID = 5INT1747410
KEY ID = ANNAA-BHAWB-4BNN9
------------------------------------------------------------------------
গান/গিটার বিষয়ক বেশ সমৃদ্ধ একটি সাইট:
http://www.ultimate-guitar.com/
গান বিষয়ক Guitar Pro 5 ফাইল বলুন, ট্যাব, লেসন, লিরিক ভিডিও সব পাবেন এই জটিল সাইট থেকে। ব্যান্ড বা গানের নাম (কেন নয় warfaze/artcell/Nagarbaul!) দিয়ে সার্চ দিয়ে ট্রাই করে দেখুন।
------------------------------------------------------------------------
আগেই বলেছিলাম torrent (ফ্রি ৮.৬ মেগাবাইটের সফ্টওয়ার) কাজে লাগাতে পারলে লাইফে আর কোন কিছু নামনো নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে হবে না! কারন torrent এ পাওয়া যায় সব একসাথে - "Complete collections"। তাহলে আসুন কিছু guitar tutorial ভিডিও নামিয়ে ফেলি:
ফ্লেমিংগো ইস্টাইলে গিটার বাজানো শিখতে চান? - তাহলে এখানে ক্লিক করুন
তারপর vuze খোলা রেখে Download .torrent এ ক্লিক করে নামানো শুরু করুন।
ফাইল সাইজ/সংখ্যা 5.29 GB / 272 files. ।
Flamenco ইস্টাইলের সব আছে এখানে। ফাইল সাইজ দেখে ভয় পেয়েছেন?
সমস্যা নাই, এটা নামান:
**আমার 4shared এ আপলোড করা ৪২ মেগা সাইজের Flamenco strumming শেখার Made easy টাইপ ভিডিও
যারা জীবনেও গিটার বাজাননি, কিন্তু ইচ্ছা আছে, শিখতে চান, তাদের জন্য ৯ মিনিটের ৩৭ মেগা সাইজের এই guitar tutorial টা নামান:
**আমার আপলোড করা guitar tutorial - Made easy 
আমি বলবো উপরের খুব সহজ tutorial ভিডিওটি যে শিখতে পারবেন, সে rhythm guitar এর বেসিক সব শিখে গেছেন!
* আমাদের সর্বজ্ঞানী google মামা আর youtube.com এর ব্যবহার করার কথাও ভুলবেন না কিন্তু!
guitar tutorialsongwriting tutorial, লিখে সার্চ দিন! হাজার হাজার হেল্পফুল tutorial ভিডিও পাবেন।
------------------------------------------------------------------------
এখন বলে ফেলতে পারেন, গিটার বাজানোতো শিখলাম, এখন গান লিখতে চাই। নো প্রবলেম, ডাইলোড করুন এই বই (৩৫৬ পাতার)। শূন্য থেকে স্টেপ বাই স্টেপ ধারাবাহিকভাবে নিয়মগুলো জানবেন। খুবই কাজের বই।
গান লিখার Made Easy


এই ভিডিওগুলো সময় করে ঠান্ডা মাথায় দেখুন, কাজে লাগবে।
View this link
------------------------------------------------------------------------
গান গাওয়া শেখা নিয়ে এই সাইটটা খারাপ না:
Voice Training 
Rock vocals শিখতে এই ভিডিওগুলো থেকে প্রচুর ইনফো পাবেন:
How to sing Rock vocals
------------------------------------------------------------------------
গিটার বাজানো শিখলেন, গান লিখছেন, সুর না করতে পারলে চলে? চিন্তা নেই। এটা নামান। সুর করার ধারনাও পেয়ে যাবেন।
এই দুই পার্টের ভিডিও দেখুন, গিটার মিউজিকের বেসিক জানা থাকলে খুব সহজেই গান বানানোর প্রাথমিক আইডিয়া পাবেন:

Part 1


Part 2


রেকোর্ড করে রাখুন সব কিছু!

এই ভিডিওগুলোর আশেপাশে আরো অসংখ্য কাজের জিনিস পাবেন
------------------------------------------------------------------------
Guitar Lessons, songwriting books, সুর করার আরো বই/ভিডিও ইত্যাদি এই সাইটথেকে বা অন্য যে কোন সাইট থেকে নামাতে পারেন। তবে আমি বলবো যারা সিরিয়াসলি কিছু শিখতে চান তারা আমার দেয়া বই গুলো বা অন্য যে কোন পুর্ণাঙ্গ একটা ভিডিও/বই ভালভাবে ধারাবাহিকভাবে স্টাডি করে শেষ করুন। বেশি বই-তথ্য দেখলে/ঘাটলে মাথা নষ্ট হয়ে যাবে, পরে কোনটাই হবে না! আপনি যদি এডভান্স লেভেলে থাকা মিউজিশিয়ান হয়ে থাকেন তাহলে ভিন্ন কথা!
------------------------------------------------------------------------
নতুন কিংবা Used গিটার কিনতে হলে কি কি বিষয় চেক করে নেয়া ভাল:
* ভাল ব্র্যান্ড দেখে কিনুন।
* বডিতে কোন ফাটা বা ফ্রেড সোজা না বাকা লক্ষ্য করুন।
* টিউন চেক করুন প্রতিটি ফ্রেড। তারে তারে হারমনি করে বিষয়টা বোঝা সহজ।
* নিজে নতুন বা এ বিষয়ে জ্ঞান না খাকলে অবশ্যই এ বিষয়ে এক্সপার্ট সাথে নিয়ে দোকানে যাবেন।
* বাংলাদেশে ঢাকায় সাইন্সল্যাবের সামনে "মেলোডি & কোং" এ সবচেয়ে ভাল কালেকশনের মিউজিক ইন্সট্রুমেন্টস পাওয়া যায়। এর আশেপাশে আরো কিছু দোকান আছে।
কারন আমাদের দেশে এখন অনেক চাইনিজ/কোরিয়ান/ইন্ডিয়ান নষ্ট/খুত (খালি চোখে ধরতে না পারা) থাকা গিটার ইমপোর্ট হচ্ছে। বিশেষ করে ফ্রেড ডিসপ্লেস করে বসানো গিটার আসে বেশি। সামনের দিকের ফ্রেড ঠিক থাকে নিচের দিকে টিউন মিলে না।
------------------------------------------------------------------------
পৃথিবীর সব চেয়ে দামি গিটার:

Fender Stratocaster
প্রাকৃতিক বিপর্যয় সুনামিতে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের সাহায্যার্থে ফান্ড রেইজ করার উদ্দেশ্যে এ গিটারটি ২০০৫ সালে কাতারে নিলামে বিক্রি হয়। Bryan Adams এর তত্ত্বাবধনে এই গিটারে স্বাক্ষর করেন Mick Jagger, Keith Richards, Eric Clapton, Brian May, Jimmy Page, David Gilmour, Jeff Beck, Pete Townsend, Mark Knopfler, Ray Davis, Liam Gallagher, Ronnie Wood, Tony Iommi, Angus & Malcolm Young, Paul McCartney, Sting, Ritchie Blackmore, Def Leppard এবং Bryan Adams নিজে। প্রথমে কাতারের রাজ পরিবার গিটারটি ১ মিলিয়ন ডলারে কিনে চ্যারিটি প্রতিষ্ঠানটিকে আবার বিক্রির জন্য দান করে দেয়। পরে আবার গিটারটি ২.৭ মিলিয়ন ডলারে নিলামে বিক্রি হয় অর্থাৎ গিটারটি মোট ৩.৭ মিলিয়ন ডলার সুনামিতে সাহায্যের জন্য অর্থ তুলে আনে।
-------------------------------------------------------------------------
পৃথিবীতে উন্নতি করিবার পথ দুইটি - একটি আত্ম শক্তি আরেকটি চালিযাতি। চালিয়াতিও এক প্রকার শক্তি বটে, তবে তাহা ধীরে ধীরে আত্মাকে ক্ষুদ্র ও নির্ব্বীর্য্য করিয়া চারিত্রিক অধোগতি সাধন করে বলিয়া সর্ব্বদা পরিত্যাজ্য।
যাহারা আত্মশক্তির সাধনা করে, তাহাদের বড় হইতে সময় লাগে, অথবা তাহাদের কেহ কেহ কোন সময় বড় হইতেই পারে না। তবু তাহাদের জীবন সার্থক এই জন্য যে, তাহারা একটি বড় রকমের আদর্শ দিয়া পৃথিবীকে ঋণী করিয়া যায়। সার্থক হইলে তো কথাই নাই, না হইলেও সাধনার একটি মূল্য আছেই। ভিতরের দিক হইতে দেখিতে গেলে তাহা আত্মশক্তিতে উদবুদ্ধ করিয়া মানুষকে সৃজনধর্ম্মী করিয়া তুলে, আর বাহিরের দিক হইতে দেখিলে গেলে তাহা প্রাত্যহিক জীবনের গ্লানি ও নীচতা হইতে রক্ষা করে।
সার্থকতা সকল সময় সকলের ভাগ্যে ঘটেনা। কারণ তাহা শুধু চেষ্টার উপর নির্ভর না করিয়া বিধাতৃ-দত্ত শক্তির উপর নির্ভর করিতেছে। সে-শক্তির তারতম্য আছে। তাহার জন্য আমরা দায়ী নহি, দায়ী স্বয়ং বিধাতা। শক্তির অভাবের জন্য লাজ বোধ করিবার কিছুই নাই। সাধনার অভাবেই আমাদের লজ্জা। আমি চেষ্টা করিলেই রবীন্দ্রনাথ হইতে পারি না। কারণ রবীন্দ্রনাথের শক্তিতে আমার শক্তিতে আকাল-পাতাল প্রভেদ। কিন্তু সাধনায় তাঁহার সমকক্ষ হওয়া অসম্ভব নহে। না হইলে বিধাতার অপরাধ হইবে না, হইবে আমাদেরই।
- মোতাহের হোসেন চৌধুরী।
শিল্প সৃষ্টিতে কোন শর্টকাট পথ নেই। তাই সাধনা চালিয়ে যান, সার্থকতা আসুক আর নাই আসুক, সফলতা পাবেনই।
-------------------------------------------------------------------------


বুদ্ধিমতি মেয়েরা তাদের জীবন সঙ্গী নির্বাচনের ক্ষেত্রে ভীষণ সিরিয়াস হয়ে থাকে। পুরুষের যে সমস্ত বেসিক গুনাবলী থাকা অবশ্যক, জীবন সঙ্গী হিসাবে তার ষোলোআনাই আশা করে তারা। অবস্য এটা তারা চাইতেই পারে, অন্তত প্রাকৃতিক করণে তো বটেই ,তো আসল কথায় আসি। বেসিক গুনাবলী থাকার পর ছেলেদের বাড়তি গুনাবলী যার মাঝে যত বেশী থাকবে সে ততবেশী তার সঙ্গিনীর প্রানপ্রিয় হবে, ততই বেশী প্রেম ভালবাসা পাবে, আর ভালবাসা তো অফুরন্ত। তবে যে কথাটি না বললেই নয়, মেয়েদের চাহিদা নির্ভর করে তার অবস্থা এবং পারিপার্শ্বিকতার উপর ভিত্তিকরে। আমাদের দেশের প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলের স্বল্প শিক্ষিতা মেয়েদের চাহিদার তুলনায় শহরের আধুনিকা ও শিক্ষিতা মেয়েদের চাহিদার মধ্যে রয়েছে বিস্তর ফারাক। যেটা অবস্য গ্রাম অঞ্চলের পুরুষদের বেলায় তেমন একটা ভিন্নতা লক্ষ করা যায় না । মূলত গ্রাম অঞ্চলের মেয়েদের পিছিয়ে পড়াটাই এর জন্য দায়ী। সে যাইহোক ছেলেদের যে সমস্ত গুনাবলী মেয়েরা তার সঙ্গী হিসাবে কামনা করে, সে যে অঞ্চলের হোক না কেন যদি সেটি ছেলেটির মাঝে উপস্থিত থাকে তাহলে অবশ্যই সে মেয়েটির হৃদয় জয় করতে পারবে। তবে বলছিলাম না, আধুনিকা ও শিক্ষিতা মেয়েদের চাহিদাই বেশী, আসলেই তাই.. অনেক আধুনিকা মেয়েরা ছেলেদের বাহ্যিক গুনাবলী পরখ করার পাশাপাশি ছেলেদের শরীরের অঙ্গ প্রতঙ্গের বিশেষ বিশেষ স্থানগুলো প্রিতিমিশ্রিত শ্রদ্ধার সাথে দেখে থাকে। তবে পোস্ট লম্বা হয়ে যাবার আশংকায় এখানে কেবল মেয়েদের পছন্দনীয় বেসিক গুনাবলী নিয়েই আলোচনা করবো, সে সাথে আশা করবো সন্মানিত পাঠকদের মূল্যবান মন্তব্য এবং অমূল্য ভোট ।


১. তাকে অবশ্যই প্রেমময় ,সমবেদী ,অন্তদৃষ্টিসম্পন্ন হতে হবে এবং একান্তভাবে বা পরিচিত মহলে উভয় ক্ষেত্রেই সঙ্গিনীকে প্রতিপাদন করা বা তাকে উর্ধ্বে তুলে ধরার মনমানসিকতা থাকতে হবে।



২. হাস্যোদ্রেককর, খোশমেজাজ ,রসিক এবং আশাবাদী হতে হবে।



৩. তাকে বিশ্বাসী হতে হবে, তার ভাষা ও বচন ভঙ্গির প্রতি মনোযোগী হতে হবে এবং অনৈতিকতা থেকে মুক্ত থাকতে হবে।



৪. তার প্রতিটি কাজে ভদ্রলোক; সদ্বংশীয় সভ্রান্ত পুরুষের ছাপ থাকতেহবে।



৫. মার্জিত,সংস্কৃতিবান, বুদ্ধিমান,সৃজনশীল এবং সৃষ্টিশীল হতে হবে।



৬.তাকে ন্যয়পরায়ণ, প্রতিশ্রুতি রক্ষার ক্ষেত্রে নিষ্ঠাবান এবং সঙ্গিনীর ইচ্ছানুসারে কাজ সম্পাদন করার মানসিকতা থাকাতে হবে।



৭. যে কোনো কাজে বা কর্মশক্তিতে অশিষ্টাচার ও অভদ্রতা প্রকাশ ব্যতীত প্রবল সক্রিয়তা প্রদর্শন করা ও সর্বদা সঙ্গিনীর মনোরঞ্জনে তৎপর থাকতে হবে।


৮. অবিরত মেধা প্রয়োগের মাধ্যমে উত্তরোত্তর সাফল্য অর্জনের প্রবল আকাঙ্ক্ষা ও ইচ্ছাশক্তির অধিকারী হওয়া।


৯.কন্যার পিত্রালয়ের প্রতি সর্বদা অভিনিবিষ্ট ও সজাগ থাকা। 

বাংলাদেশে বিশেষত ঢাকা শহরে বড় কোন ভূমিকম্প হলে পরিস্থিতি কী হবে, সেটা চিন্তা করতেও ভয় লাগে। ভূমিকম্পের সময় জান বাঁচানোর জন্য কী করণীয় সে সম্পর্কে কিছু টিপস দিলাম।এগুলো অনেক ওয়েবসাইট ঘেটে নানা জনের ব্লগ থেকে সংগ্রহ করেছি।


১। আমেরিকান রেডক্রসের পরামর্শ অনুযায়ী- ভূমিকম্পের সময় সবচেয়ে উত্তম পন্থা হল ‘ড্রপ-কাভার-হোল্ড অন’ বা ‘ডাক-কাভার’ পদ্ধতি। অর্থাৎ কম্পন শুরু হলে মেঝেতে বসে পড়ুন, তারপর কোন শক্ত টেবিল বা ডেস্কের নীচে ঢুকে কাভার নিন, এমন ডেস্ক বেছে নিন বা এমনভাবে কাভার নিন যেন প্রয়োজনে আপনি কাভারসহ মুভ করতে পারেন। তাদের মতে, ভূমিকম্পে আমেরিকার খুব কম বিল্ডিংই কলাপস করে; যেটা হয় তা হল আশেপাশের বিভিন্ন জিনিষ বা ফার্নিচার গায়ের উপর পড়ে নেক-হেড-চেস্ট ইনজুরি বেশি হয়। তাই এগুলো থেকে রক্ষার জন্য কোন শক্ত ডেস্ক বা এরকম কিছুর নীচে ঢুকে কাভার নেয়া বেশি জরুরী। অপরদিকে উদ্ধার কর্মীর মতে বিল্ডিং কলাপস করলে ‘ডাক-কাভার’ পদ্ধতি একটি মরণ-ফাঁদ হবে। সেটা না করে কোন বড় অবজেক্ট যেটা কম কম্পপ্যাক্ট করবে যেমন সোফা ইত্যাদির পাশে আশ্রয় নিলে যে void তৈরী হবে, তাতে বাঁচার সম্ভাবনা বেশী থাকবে। এখন রেড ক্রস কিন্তু এই ভয়েড বা এর ব্যাপারটা অস্বীকার করে নি। কিন্তু যেহেতু আমেরিকায় বিল্ডিং কলাপ্স হবার সম্ভাবনা কম, তাই তাদের ‘ড্রপ-কাভার-হোল্ড অন’ পদ্ধতিই বিভিন্ন বস্তুর আঘাত থেকে রক্ষা পাবার জন্য সবচেয়ে উত্তম। দু’টো ব্যাপারই তাই মাথায় রাখুন।


২। উদ্ধার কর্মীরা আরো লক্ষ্য করেছেন- বিল্ডিং ভেঙ্গে পড়ার সময় সিলিং যখন কোন অবজেক্টের ওপর পড়ে একে গুঁড়িয়ে দেয়, ঠিক তার পাশেই ছোট্ট একটি খালি জায়গা বা void-এর সৃষ্টি হয়। একে তারা বলছেন ‘সেফটি জোন’ বা ‘ট্রায়াঙ্গল অফ লাইফ’। তাই ভূমিকম্পের সময় বড় কোন সোফা বা বড় কোন অবজেক্ট যেটা কম কম্প্রেস করবে- এরকম কিছুর পাশে আশ্রয় নিলে বাঁচার সম্ভাবনা বেশি থাকে। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য ছোট্ট একটু void-ই যথেষ্ট। বিপন্ন অবস্থায় কুকুর, বিড়াল এবং শিশুদের একটা সহজাত প্রবৃত্তি হল কুন্ডলি করে গুটিশুটি হয়ে যাওয়া। ভূমিকম্পের সময় মানুষেরও এটা অনুসরণ করা উচিত। তাহলে বিভিন্ন অবজেক্টের পাশে গুটিশুটি করে আশ্রয় নিলে এগুলো ভূমিকম্পের সময় যে ছোট void-এর সৃষ্টি করবে তাতে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বেশি থাকবে।

৩। রাতের বেলা ঘুমানোর সময় ভুমিকম্প হলে কোন হুড়াহুড়ি করার দরকার নেই। গড়িয়ে মেঝেতে কুন্ডলি পাকিয়ে শুয়ে পড়ুন বিছানাকে ঢাল বানিয়ে। তার মানে আবার বিছানার নীচে যেন ঢুকবেন না, বিছানার পাশে আশ্রয় নিন। তেমনি ভূমিকম্পের সময় জানালা বা বারান্দা দিয়ে লাফ দেয়া এসবও করবেন না। কোন সোফা বা দুই নাম্বার পয়েন্টে যেভাবে বলেছি সেভাবে ঘরের মধ্যেই কোন অবজেক্টের পাশে আশ্রয় নিন।

৪। অনেককে বলতে শুনেছি ভূমিকম্পের সময় দরজার নীচে আশ্রয় নিলে নাকি বাঁচার সম্ভাবনা বেশি থাকে! দরজার নীচে বা পাশে থাকলে নির্ঘাত মারা পড়বেন। যদি দরজার নীচে থাকেন তবে সিলিং-এর নীচে চাপা পড়ে মারা পড়বেন আর যদি পাশে থাকেন দরজা আপনাকে দু’ভাগ করে কেটে ভেঙ্গে পড়বে।

৫। ভূমিকম্পের সময় কখনই সিঁড়িতে আশ্রয় নেবেন না। সিঁড়ির ‘মোমেন্ট অফ ফ্রিকোয়েন্সী’ বিল্ডিং-এর চাইতে ভিন্ন হয় এবং অনেক সময় বিল্ডিং ভেঙ্গে না পড়লেও সিঁড়ি দ্রুত ভেঙ্গে পড়ে।

৬। চেষ্টা করুন বাসার একেবারে ভিতরের দিকের রুমে না থেকে বাইরের ওয়ালের কাছাকাছি আশ্রয় নিতে। বিল্ডিং-এর ভেতরের দিকে থাকলে সবকিছু ভেঙ্গে পড়ার পর আপনার ‘উদ্ধার পাবার রাস্তা’ ব্লক হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে। বাইরের ওয়ালের কাছাকাছি থাকলে ব্লক কম থাকবে, তাড়াতাড়ি উদ্ধার পাবার সম্ভাবনাও বেশি থাকবে।


৭। বড় ভূমিকম্পের পরপরই আরেকটা ছোট ভূমিকম্প হয় যেটাকে ‘আফটার শক’ বলে। এটার জন্যও সতর্ক থাকুন, না হলে পচা শামুকেই শেষমেষ পা কাটতে হতে পারে।

৮। প্রথম ভূমিকম্পের পর ইউটিলিটি লাইনগুলো (গ্যাস, বিদ্যুত ইত্যাদি) একনজর দেখে নিন। কোথাও কোন লিক বা ড্যামেজ দেখলে মেইন সুইচ বন্ধ করে দিন

সবচেয়ে বড় কথা একটি ভূমিকম্পের সময় যেটুকু সময় পাওয়া যায় সেসময় মাথা ঠান্ডা রাখা অসম্ভব হয়ে। কিন্তু আমাদের চেষ্টা করতে হবে।


ভালো থাকবেন। আপনার কোন মতামত থাকলে জানাবেন।বাংলাদেশে বিশেষত ঢাকা শহরে বড় কোন ভূমিকম্প হলে পরিস্থিতি কী হবে, সেটা চিন্তা করতেও ভয় লাগে। ভূমিকম্পের সময় জান বাঁচানোর জন্য কী করণীয় সে সম্পর্কে কিছু টিপস দিলাম।এগুলো অনেক ওয়েবসাইট ঘেটে নানা জনের ব্লগ থেকে সংগ্রহ করেছি।


১। আমেরিকান রেডক্রসের পরামর্শ অনুযায়ী- ভূমিকম্পের সময় সবচেয়ে উত্তম পন্থা হল ‘ড্রপ-কাভার-হোল্ড অন’ বা ‘ডাক-কাভার’ পদ্ধতি। অর্থাৎ কম্পন শুরু হলে মেঝেতে বসে পড়ুন, তারপর কোন শক্ত টেবিল বা ডেস্কের নীচে ঢুকে কাভার নিন, এমন ডেস্ক বেছে নিন বা এমনভাবে কাভার নিন যেন প্রয়োজনে আপনি কাভারসহ মুভ করতে পারেন। তাদের মতে, ভূমিকম্পে আমেরিকার খুব কম বিল্ডিংই কলাপস করে; যেটা হয় তা হল আশেপাশের বিভিন্ন জিনিষ বা ফার্নিচার গায়ের উপর পড়ে নেক-হেড-চেস্ট ইনজুরি বেশি হয়। তাই এগুলো থেকে রক্ষার জন্য কোন শক্ত ডেস্ক বা এরকম কিছুর নীচে ঢুকে কাভার নেয়া বেশি জরুরী। অপরদিকে উদ্ধার কর্মীর মতে বিল্ডিং কলাপস করলে ‘ডাক-কাভার’ পদ্ধতি একটি মরণ-ফাঁদ হবে। সেটা না করে কোন বড় অবজেক্ট যেটা কম কম্পপ্যাক্ট করবে যেমন সোফা ইত্যাদির পাশে আশ্রয় নিলে যে void তৈরী হবে, তাতে বাঁচার সম্ভাবনা বেশী থাকবে। এখন রেড ক্রস কিন্তু এই ভয়েড বা এর ব্যাপারটা অস্বীকার করে নি। কিন্তু যেহেতু আমেরিকায় বিল্ডিং কলাপ্স হবার সম্ভাবনা কম, তাই তাদের ‘ড্রপ-কাভার-হোল্ড অন’ পদ্ধতিই বিভিন্ন বস্তুর আঘাত থেকে রক্ষা পাবার জন্য সবচেয়ে উত্তম। দু’টো ব্যাপারই তাই মাথায় রাখুন।

২। উদ্ধার কর্মীরা আরো লক্ষ্য করেছেন- বিল্ডিং ভেঙ্গে পড়ার সময় সিলিং যখন কোন অবজেক্টের ওপর পড়ে একে গুঁড়িয়ে দেয়, ঠিক তার পাশেই ছোট্ট একটি খালি জায়গা বা void-এর সৃষ্টি হয়। একে তারা বলছেন ‘সেফটি জোন’ বা ‘ট্রায়াঙ্গল অফ লাইফ’। তাই ভূমিকম্পের সময় বড় কোন সোফা বা বড় কোন অবজেক্ট যেটা কম কম্প্রেস করবে- এরকম কিছুর পাশে আশ্রয় নিলে বাঁচার সম্ভাবনা বেশি থাকে। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য ছোট্ট একটু void-ই যথেষ্ট। বিপন্ন অবস্থায় কুকুর, বিড়াল এবং শিশুদের একটা সহজাত প্রবৃত্তি হল কুন্ডলি করে গুটিশুটি হয়ে যাওয়া। ভূমিকম্পের সময় মানুষেরও এটা অনুসরণ করা উচিত। তাহলে বিভিন্ন অবজেক্টের পাশে গুটিশুটি করে আশ্রয় নিলে এগুলো ভূমিকম্পের সময় যে ছোট void-এর সৃষ্টি করবে তাতে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বেশি থাকবে।

৩। রাতের বেলা ঘুমানোর সময় ভুমিকম্প হলে কোন হুড়াহুড়ি করার দরকার নেই। গড়িয়ে মেঝেতে কুন্ডলি পাকিয়ে শুয়ে পড়ুন বিছানাকে ঢাল বানিয়ে। তার মানে আবার বিছানার নীচে যেন ঢুকবেন না, বিছানার পাশে আশ্রয় নিন। তেমনি ভূমিকম্পের সময় জানালা বা বারান্দা দিয়ে লাফ দেয়া এসবও করবেন না। কোন সোফা বা দুই নাম্বার পয়েন্টে যেভাবে বলেছি সেভাবে ঘরের মধ্যেই কোন অবজেক্টের পাশে আশ্রয় নিন।

৪। অনেককে বলতে শুনেছি ভূমিকম্পের সময় দরজার নীচে আশ্রয় নিলে নাকি বাঁচার সম্ভাবনা বেশি থাকে! দরজার নীচে বা পাশে থাকলে নির্ঘাত মারা পড়বেন। যদি দরজার নীচে থাকেন তবে সিলিং-এর নীচে চাপা পড়ে মারা পড়বেন আর যদি পাশে থাকেন দরজা আপনাকে দু’ভাগ করে কেটে ভেঙ্গে পড়বে।

৫। ভূমিকম্পের সময় কখনই সিঁড়িতে আশ্রয় নেবেন না। সিঁড়ির ‘মোমেন্ট অফ ফ্রিকোয়েন্সী’ বিল্ডিং-এর চাইতে ভিন্ন হয় এবং অনেক সময় বিল্ডিং ভেঙ্গে না পড়লেও সিঁড়ি দ্রুত ভেঙ্গে পড়ে।

৬। চেষ্টা করুন বাসার একেবারে ভিতরের দিকের রুমে না থেকে বাইরের ওয়ালের কাছাকাছি আশ্রয় নিতে। বিল্ডিং-এর ভেতরের দিকে থাকলে সবকিছু ভেঙ্গে পড়ার পর আপনার ‘উদ্ধার পাবার রাস্তা’ ব্লক হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে। বাইরের ওয়ালের কাছাকাছি থাকলে ব্লক কম থাকবে, তাড়াতাড়ি উদ্ধার পাবার সম্ভাবনাও বেশি থাকবে।

৭। বড় ভূমিকম্পের পরপরই আরেকটা ছোট ভূমিকম্প হয় যেটাকে ‘আফটার শক’ বলে। এটার জন্যও সতর্ক থাকুন, না হলে পচা শামুকেই শেষমেষ পা কাটতে হতে পারে।

৮। প্রথম ভূমিকম্পের পর ইউটিলিটি লাইনগুলো (গ্যাস, বিদ্যুত ইত্যাদি) একনজর দেখে নিন। কোথাও কোন লিক বা ড্যামেজ দেখলে মেইন সুইচ বন্ধ করে দিন

সবচেয়ে বড় কথা একটি ভূমিকম্পের সময় যেটুকু সময় পাওয়া যায় সেসময় মাথা ঠান্ডা রাখা অসম্ভব হয়ে। কিন্তু আমাদের চেষ্টা করতে হবে।