আজকাল প্রচুর ইমেইল, মন্তব্য পাচ্ছি যেখানে পাঠকগণ জিজ্ঞাসা করছেন কেন
এডসেন্সের জন্য আবেদন গুগল গ্রহন করছেন না। আমার মনে হয়, যতগুলো বিজ্ঞাপন
দেখানোর ওয়েবসাইট আছে, তার মধ্যে গুগলের আবেদন প্রনালী সবচেয়ে সহজ।
তারপরেও গুগল যাতে যেনতেন ওয়েবসাইটে এডসেন্স প্রদর্শিত না হয়, সেজন্য
কিছু সহজ নিয়মকানুন মেনে চলে। এই নিয়মগুলো মেনে চললে আবেদন মঞ্জুর হতে
বাধ্য। কেবলমাত্র ব্লগারদের নিজেদের অবহেলার জন্য আবেদন নামঞ্জুর হয়।
আজকে আমি কয়েকটি বিষয়ে আলোচনা করব। অনুগ্রহ করে মনোযোগ সহকারে নিয়মগুলো
মেনে চলার পরেই কেবলমাত্র একাউন্টের জন্য আবেদন করবেন। এছাড়া একবার
একাউন্ট সক্রিয় হলে অবশ্যই অবশ্যই এই ১৪টি বিষয়ের উপর লক্ষ্য রাখবেন। কারণ একবার কোনো ভুলের কারনে একাউন্ট ব্যান হয়ে গেলে পরবর্তীতে একাউন্ট খুলতে প্রচুর ভোগান্তি পোহাতে হয়।
ওয়েবসাইটের ডোমেইন
আজকাল গুগল এডসেন্সের একাউন্টের জন্য নিয়মকানুন বেশ কঠিন করে দিয়েছে।
প্রথমত যে বিষয়টি চোখে পড়ে তা হল গুগল কোনো সাবডোমেইনের জন্য এডসেন্স
একাউন্ট খুলে দেয় না। অর্থাৎ .co.cc এর সাহায্যে যত ডোমেইন ব্যবহার করা
হয়, সবগুলোই সাবডোমেইন। তাই এই ধরনের সাবডোমেইন ব্যবহার করে একাউন্ট খোলা
সম্ভব নয়। আপনার নিজস্ব কোনো ডোমেইন থাকলে সেটি দিয়ে একাউন্টের জন্য
আবেদন করুন, নতুবা আপনি blogspot.com এর ব্লগ ব্যবহার করেও একাউন্ট খুলতে
পারবেন। আর একবার একাউন্ট সক্রিয় হয়ে গেলে সেটি ব্যবহার করে আপনি যেকোনো
ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করতে পারবেন।
গুগল আবার অনেকসময় whois record
চেক করে দেখে যে যিনি একাউন্টের জন্য আবেদন করেছেন, তিনিই কি ডোমেইনের
মালিক কিনা। তাই ডোমেইন অন্যের নামে কিনে থাকলে এবং গুগল যদি মালিকানা
প্রমাণ করতে বলে তাহলে নিজের নামে ডোমেইন ট্রান্সফার করে ডোমেইনের
মালিকানা প্রমাণ করতে পারেন।
ওয়েবসাইটের কনটেন্ট
এই বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমার মতে ৮৫% আবেদনই নাকচ হয় এই বিষয়ে
অজ্ঞতার কারনে। ওয়েবসাইটে যদি কনটেন্ট না থাকে কিংবা খুবই অল্প থাকে,
তাহলে আবেদন নাকচ হতে বাধ্য। আবার কপি-পেষ্ট আর্টিকেলের জন্যেও আবেদন নাকচ
হয়।
আমার মতে অন্তত ১৫-২০ আর্টিকেল ১/২ মাসে ধীরে ধীরে পোষ্ট করে অত:পর
এডসেন্সের জন্য আবেদন করা উচিত। কখনই হুটহাট করে এক গাদা আর্টিকেল পোস্ট
করবেন না। গুগল এই বিষয়ে খুবই কড়া হয়ে গিয়েছে। এই মূর্হুতে ভারত এবং
চীনের যেকোনো ব্লগের / ওয়েবসাইটের বয়স কমপক্ষে ৬ মাস না হলে তার জন্য
এডসেন্সের একাউন্ট সক্রিয় করা হয় না।
গুগলে ইনডেক্স হওয়া পেজসংখ্যা
ওয়েবসাইটের কনটেন্টের সাথে ইনডেক্স হওয়ার বিষয়টি সর্ম্পকিত। আবেদন করার
পূর্বে পরীক্ষা করে দেখুন আপনার ওয়েবসাইটের কতটি পেজ ইনডেক্স হয়েছে।
কতটি পেজ ইনডেক্স হয়েছে তা জানতে গুগলে site:http://www.yoursite.com
দিয়ে সার্চ করে দেখুন। যে কয়টি পেজ ফলাফলে দেখতে পাবেন সেই কয়টি পেজই
গুগলে ইনডেক্স হয়েছে।
যদি দেখেন একটি পেজও ইনডক্স হয়নি, তাহলে আবেদন করা থেকে বিরত থাকুন।
ব্যাকলিংকের উপর জোর দিন, একবার ব্যাকলিংক পাওয়া শুরু হলে, ইনডেক্সও জলদি
জলদি হয়ে যাবে। ব্যাকলিঙ্ক বিষয়ে জানতে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনে Incoming Link এর গুরুত্ব পোষ্টটি পড়ুন।
ওয়েবসাইটের ডিজাইন
যতদূর সম্ভব ওয়েবসাইটের ডিজাইন সাধাসিধা রাখুন, অহেতুক উইজেট বসানো থেকে
বিরত থাকুন। সম্ভব হলে Contact, Disclaimer, Terms & Conditions,
সাইটম্যাপ পেজগুলো যুক্ত করুন।
ওয়েবসাইটে ভিজিটর / ট্রাফিক
গুগল নিদির্ষ্ট করে ট্রাফিক সম্বন্ধে কিছু বলেনি, কিন্তু আমার মতে হালকা পাতলা ট্রাফিক থাকলে আবেদনের বিষয়টি সহজ হয়ে যায়।
সাথে থাকুন, ভাল থাকুন।
সবার জন্য রইল শুভ কামনা।
পড়াশোনা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
পড়াশোনা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
গুগল এডসেন্স একাউন্টের জন্য আবেদন করার পূর্বে যা যা করবেন
এর দ্বারা পোস্ট করা
Unknown
এই সময়ে
১:২৮ AM
লেবেলসমূহ: ইন্টারনেট ট্রিকস এন্ড টিপস, পড়াশোনা
যারা আইবিএ-তে ভর্তি পরীক্ষা দিবেন তাদের জন্য উপদেশনামা!!
এর দ্বারা পোস্ট করা
Unknown
এই সময়ে
১:০৬ AM
আইবিএ-র এমবিএ যারা দেশে থাকতে চান তাদের জন্য সবচেয়ে ভাল অপশন। দেশে চাকরি করার জন্য আইবিএ-র এমবিএ করার থেকে ভাল কোন অপশান নেই।
কাদের
জন্য: আসলে হওয়া উচিৎ কাদের
জন্য নয়?? আপনি যেকোন ব্যাকগ্রাউন্ডেরও হোন কোন সমস্যা নেই। বাংলা পড়ুন বা ইতিহাস পড়ুন, বিজনেস পড়ুন বা
ইন্জিনিয়ারিং পড়ুন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুন বা বুয়েটে পড়ুন আপনার
ব্যাচেলর ডিগ্রী থাকলেই পরীক্ষা দিতে পারবেন। একটা মিনিমাম রিকোয়ারমেন্ট আছে যেটা সবাই মিট করে।
কেন আইবিএ-র এমবিএ: আপনি যদি দেশে সরকারী চাকরিতে গিয়ে ঘুষ খাইতে না চান বা আপনার কোন মামা-চাচা আপনাকে চাকরি দেওয়ার মত এরকম কেউ নাই আর বিজনেস করারও ইচ্ছে বা ক্যাপিট্যাল না থাকে, তাহলে দেশে থেকেই ভাল চাকরি করে মিডলক্লাস বা আপার-মিডলক্লাস লাইফ লিড করার জন্য আইবিএ-র এমবিএ-র কোন বিকল্প নেই। আইবিএ-র এমবিএ করে আপনি মোটামোটি ভাল প্লেসমেন্টের নিশ্চয়তা পাবেন। এখানে দুধরণের এমবিএ আছে। রেগুলার আর এক্সিকিউটিভ। এক্সিকিউটিভ এমবিএ-তে তিনবছরের চাকরির অভিজ্ঞতা লাগে। তবে এক্সিকিউটিভের এডমিশান টেস্ট একটু ইজি হয়। কোন ম্যাথ পার্ট থাকেনা। চাকরির অভিজ্ঞতা থাকলে এক্সিকিউটিভে যাওয়াই ভাল। নাহয় রেগুলারটাতে যাবেন। এক্সিকিউটিভে অবশ্য (মনে হয়) টাকাও অনেক বেশি লাগে। রেগুলারে টাকা তেমন খরচ হয়না।
কেন আইবিএ-র এমবিএ: আপনি যদি দেশে সরকারী চাকরিতে গিয়ে ঘুষ খাইতে না চান বা আপনার কোন মামা-চাচা আপনাকে চাকরি দেওয়ার মত এরকম কেউ নাই আর বিজনেস করারও ইচ্ছে বা ক্যাপিট্যাল না থাকে, তাহলে দেশে থেকেই ভাল চাকরি করে মিডলক্লাস বা আপার-মিডলক্লাস লাইফ লিড করার জন্য আইবিএ-র এমবিএ-র কোন বিকল্প নেই। আইবিএ-র এমবিএ করে আপনি মোটামোটি ভাল প্লেসমেন্টের নিশ্চয়তা পাবেন। এখানে দুধরণের এমবিএ আছে। রেগুলার আর এক্সিকিউটিভ। এক্সিকিউটিভ এমবিএ-তে তিনবছরের চাকরির অভিজ্ঞতা লাগে। তবে এক্সিকিউটিভের এডমিশান টেস্ট একটু ইজি হয়। কোন ম্যাথ পার্ট থাকেনা। চাকরির অভিজ্ঞতা থাকলে এক্সিকিউটিভে যাওয়াই ভাল। নাহয় রেগুলারটাতে যাবেন। এক্সিকিউটিভে অবশ্য (মনে হয়) টাকাও অনেক বেশি লাগে। রেগুলারে টাকা তেমন খরচ হয়না।
এডমিশান টেস্ট: যুক্তরাষ্ট্রে এমবিএ-তে ভর্তি হতে গেলে অনেক ঝামেলা। জিম্যাট দাও, টোফেল দাও, স্কোর পাঠাও, এডমিশান রচনা লিখ, ইন্টারভিউ দাও। কত যে ঝামেলা, যারা এটার ভিতর দিয়ে গিয়েছেন তারা জানবেন। আইবিএ-তে একটা ভর্তি পরীক্ষা আর একটা ইন্টারভিউ, এ দুটাই যথেষ্ঠ। ঝামেলাবিহীন বলা যায়। ইন্টারভিউটাও একদম ইজি। তাই সবচেয়ে বেশি মনোযোগ দিতে হবে এডমিশান টেস্টের দিকে। আপনি এডমিশান টেস্টে ভাল করলেই মোটামোটি নিশ্চিত চান্স পাওয়া। তবে মনে রাখা দরকার দেশের একমাত্র মানসম্মত এমবিএ হওয়ার জন্য এখানে প্রচুর কম্পিটিশান। যদিও এই "মানসম্মত" বলতে আমি বাংলাদেশের স্ট্যান্ডার্ডে মানসম্মতকেই বুঝাচ্ছি। অবশ্য আইবিএ-তে প্রচুর আউল-ফাউল শিক্ষক আছেন। সেটা না ধরাই বেটার। এডমিশান টেস্টে কি কি থাকে সেটা নিয়ে কথা বলছি প্রথমে।
ল্যাংগুয়েজ এন্ড কমিউনিকেশান: এরকম ফ্যান্সি নাম থাকলেও আসলে এটা হচ্ছে ভারবাল/ইংলিশ সেকশান। এখানে কয়েকধরনের প্রশ্ন থাকে:
১। ভোকাবুলারি-বেসড প্রশ্ন: এখানে সিননিমস(সমার্থক শব্দ), এন্টনিমস(বিপরীত শব্দ) আর এনালজি এই তিনটা ক্যাটাগরির প্রশ্ন থাকতে পারে। কোন কোন বছর এই ক্যাটাগরি থেকে কোন প্রশ্নই আসেনা। তবে এখানে ভাল দখল থাকলে সেটা ইংলিশ সেকশানের অন্যসব প্রশ্নের জন্যও ভাল উপকারে আসে। প্রত্যেকটা প্রশ্নের জন্য পাঁচটা চয়েস থাকে। এনালজি প্রশ্নগুলো একটু ভিন্ন। এখানে এক জোড়া শব্দ থাকে প্রশ্ন হিসেবে আর এ দুটা শব্দের মধ্যকার সম্পর্ক যেরকম একই সম্পর্কের আরেক জোড়া শব্দ আনসার চয়েস থেকে বেছে নিতে হয়।
২। রিডিং কম্প্রিহেনশান: রিডিং কম্প্রিহেনশানে সাধারণত একটা পেসেজ থাকে যেখান থেকে ৪/৫টা প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। অনেক সময় ছোট ছোট দুটা পেসেজ থাকে, প্রত্যেকটা পেসেজের জন্য ২/৩টা প্রশ্ন থাকে। এই রিডিং কম্প্রিহেনশানগুলো সারাজীবন যে ধরণের রিডিং কম্প্রিহেনশান পন্ঞম শ্রেনী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত করেছেন সেগুলার মতই। তবে সময় কম থাকে বলে এটার জন্য ট্যাকটিকস একটু ভিন্ন। আপনার যদি ভাল রিডিং হ্যাবিট থাকে তাহলে এটা ইজি হয়ে যাবে।
৩। সেন্টেন্স কমপ্লেশান: এটা সবসময় থাকেনা। কোন কোন বছর থাকে। এখানে একটা লম্বা সেন্টেন্স থাকে যার একটা বা দুটা শুন্যস্থান থাকে। শুন্যস্থান পূরণই বলা যায়। সেন্টেন্সটার মিনিং বুঝা জরূরী আর ভাল ভোকাবুলারী থাকা দরকার এখানে ভাল করার জন্য।
৪। গ্রামার: গ্রামার শব্দটা দেখে ভয় পাওয়ার কারন নেই। এখানে আপনাকে টেন্স, ভয়েস, নেরেশান এসব করতে হবেনা। এখানে সাধারণত সেন্টেন্স কারেকশান, পিনপয়েন্টিং এররস এই দুইটা আইটেমের প্রশ্ন থাকতে পারে। পিনপয়েন্টিং এররসে একটা লম্বা সেন্টেন্স থাকে যার পাঁচটা/চারটা পার্ট আন্ডারলাইনড থাকে। এখানে একটা ভুল থাকে যেটা খুঁজে বের করতে হয়। এটা সবচেয়ে সহজ সেকশান। টোফেল সিবিট-র বইয়ে এধরনের প্রচুর এক্সারসাইজ থাকে। সেন্টেন্স কারেকশানে একটা সেন্টেন্স থাকে যার কিছু অংশ বা পুরোটাই আন্ডারলাইন থাকে। আন্ডারলাইনকৃত অংশে কোন একটা ভুল থাকে, সেটা আনসার চয়েস দেখে ঠিক করতে হয়।এটা জিম্যাট থেকে আসে।
কোয়ান্টিটেটিভ: এডমিশান টেস্টের ২য় অংশটা হল ম্যাথ বা কোয়ান্টিটেটিভ। এখানে হাইস্কুল লেভেলের এরিথমেটিক, জিয়মেট্রি, এলজেব্রা আর ওয়ার্ড প্রবলেম আসে। এটা মোটামোটি স্ট্রেইট ফরওয়ার্ড, তাই তেমন আলোচনায় যাচ্ছিনা। এক্সিকিউটিভে এটা থাকেনা।
এনালিটিকাল এবিলিটি:
এনালিটিকাল এবিলিটিতে দুধরণের প্রশ্ন থাকতে পারে। পাজল আর ক্রিটিকাল রিজনিং। পাজলে একটা লম্বা পেসেজের মত থাকে যেখানে বিভিন্ন তথ্য দেওয়া থাকবে। যেমন ক খ গ ঘ চারজন একটা গোলটেবিলে বসবে। ক, খ-র পাশে বসতে চাই, খ আবার গ-য়ের পাশে বসবেনা। ক ঘ-য়ের পাশ বসলে গ ক-য়ের পাশে বসবেনা। এ রকমই হয়। ক্রিটিকাল রিজনিং-এ একটা ৪/৫ লাইনের প্যসেজ থাকে, সেটার উপর বেইস করে আনসার চয়েজ থেকে কনক্লুশানকে উইকেন/স্ট্রেংথেন বা কনক্লুশান ড্র করা, সিমিলার এক্সাম্পল দেয়া এসব করতে হয়। এ দুটা ছাড়াও আরো দুটা সেকশান থাকতে পারে। ডাটা সাফিসিয়েন্সি আর ডাটা ইন্টারপ্রেটেশান। এ দুটা আসলে ম্যাথের পার্ট হওয়া উচিৎ কিন্তু আইবিএ-তে বেশিরভাগই এগুলা এনালিটিকালের পার্ট হিসেবে আসে। কয়েকবার অবশ্য ম্যাথের পার্ট হিসেবেও এসেছে। ডাটা সাফিসিয়েন্সি একটু কঠিন যা জিম্যাট থেকে আসে আর ডাটা ইন্টারপ্রেটেশান আসে জিআরই থেকে। ইন্টারপ্রেটেশানে পাইচার্ট, বারডায়াগ্রাম এসব থেকে উত্তর দিতে হয় এবং এটা সবার জন্যই সহজ। সাফিসিয়েন্সিতে দুটা স্টেইটমেন্ট থেকে প্রশ্নটা উত্তর করা যাবে কিনা এটাই ডিসাইড করতে হয়।
রাইটিং পার্ট:
রাইটিং পার্টে দু ধরণের প্রশ্ন থাকে সাধারণত। একটাতে ফ্রি-রেসপন্স প্রশ্ন অন্যটাতে থিমেটিক রাইটিং বা এধরণের কিছু থাকে। এখানে ১৫% থেকে ২০% গ্রেড থাকে। কম সময়ের মধ্যে গ্রামাটিকেল ভুল ছাড়া মিনিংফুল লিখার প্র্যাকটিস করতে হবে।
এখন আসা যাক কিভাবে প্রস্তুতি নিবেন সে প্রশ্নে: আইবিএ-র এমবিএ-র প্রিপারেশান নিতে গেলে সুবিধা হচ্ছে আপনি একই প্রিপারেশানে ঢাবি-র ইভনিং এমবিএ, বিআইবিএম-র এমবিএম, এমআইএসটি-র এমবিএ, প্রাইভেটের এমবিএ এমনকি বিসিএসের অনেকাংশেই প্রিপারেশান হয়ে যাবে। প্রিপারেশানের জন্য দুই ধরণের পরীক্ষার্থীর জন্য দুধরণের টাইমস্কেল। যদি আপনার ইংরেজী ভাল/মোটামোটি ভাল জানা থাকে তাহলে ২/৩ মাস যথেষ্ঠ। যদি তা না থাকে তাহলে আগে আপনাকে ৫/৬ মাস সময় ইংরেজী ভাল জানার জন্য ব্যয় করতে হবে। তারপর এমবিএ ভর্তির জন্য প্রিপারেশান নিতে হবে। আর যারা জিআরই/জিম্যাট দিয়েছেন বা প্রিপারেশান নিয়েছেন এবং জিম্যাটে ৬০০ আর জিআরই-তে ম্যাথে ৭৭০+ এবং ভারবালে ৫০০+ পেয়েছেন বা পাওয়ার মত যোগ্যতা আছে তাদের জন্য ১সপ্তাহের প্রিপারেশান যথেষ্ঠ।
ইংলিশ ভাল না থাকলে ভাল করার জন্য কুম্ভকর্ণ নিকের জিম্যাট পোস্ট থেকে কপি করছি।ইংলিশে ইমপ্রোভ করার এটা সাধারণ গাইডলাইন। কারো যদি ডিটেলস দরকার হয় তাহলে কমেন্টে জবাব দেওয়া যাবে।
"আপনাকে আগে জানতে হবে আপনার ইংলিশ স্কিলস কেমন। যদি ভাল না হয় তাহলে জিমেটে ভাল করা সম্ভব না। যদি ইংলিশ স্কিলস ভাল না হয় তাহলে ৬ মাস প্রথমে ইংলিশ স্কিলস ভাল করতে হবে। এজন্য আপনি ওয়ার্ড পাওয়ার মেইড ইজি বা ওয়ার্ড স্মার্ট বইগুলো পড়ে ভাল ভোকাবুলারি আয়ত্বে আনতে হবে। সাথে সাথে ইংলিশ ফিকশান, নিউজপেপার, ম্যাগাজিন, জার্নাল এসব পড়তে হবে। যেকেউ যদি ৪-৬ মাস এভাবে সিস্টেমেটিক্যালি চেষ্টা করে তাহলে খুব ভাল ইংলিশ স্কিলস আয়ত্বে আনতে পারবে। ইংলিশ তো আরবীর মতই একটা ভাষা। বাংলাদেশের অশিক্ষিত লোকজন কোনদিন আরবী না জেনে মিডল ইস্টে গিয়ে ছয় মাসেই আরবী শিখে ফেলতেছে! তাহলে ইংলিশ না পারার কোন কারন নেই।"
"ইংলিশ ভাল না খারাপ সেটা বুঝার জন্য যেকোন ইংলিশ ডেইলির এডিটরিয়াল পেজে কলামগুলো পড়ে দেখুন। যদি আপনি ভাল বুঝতে পারেন আর খুব কম সংখ্যাক শব্দই আপনার অজানা থাকে তাহলে এমবিএ-র জন্য আপনাকে মাথা ঘামাতে হবেনা। এটুকু ইংলিশ দিয়েই আপনি ভাল করবেন।"
প্রিপারেশান প্ল্যান:
আপনার ইংলিশ উপরের লেভেলে আছে এটা ধরে নিয়ে এগুচ্ছি। প্রেপের জন্য আপনার ২/৩ মাস সময় লাগবে। প্রথমেই ভোকাবুলারির কথাই আসি। সাইফুর'স এমবিএ বইয়ে ভোকাবুলারি যেগুলো দেওয়া আছে সেগুলোই যথেষ্ঠ। অথবা ওয়ার্ডস্মার্ট ১ আর ২ পড়তে পারেন। ভোকাবুলারির জন্য ফ্ল্যাশকার্ড বানাতে পারেন। আপনার যদি অলরেডী মোটামোটি লেভেলের ইংলিশ জানা থাকে তাহলে সাইফুর'সের ৮০% শব্দই আপনার জানা থাকবে। বইটার এন্টনিমস পড়ার দরকার নেই, সিননিমস পড়লেই এন্টনিমস জানবেন। তবে ওয়ার্ড শিখার সাথে সাথে আপনাকেকোন ইংলিশ ম্যাগাজিন, ডেইলী, উইকলি এরকম কিছু নিয়মিত পড়তে হবে। নাহয় শিখা ওয়ার্ডগুলো কোনদিন মনে থাকবেনা। তাছাড়া এটা আপনাকে রিডিং কম্প্রিহেনশান, সেন্টেন্স কম্প্লেশান বা অন্যান্য অংশেও ব্যাপক সাহায্য করবে। সাইফুর'সের গ্রামার পরশনে যা আছে তাও নিয়মিত পড়ুন এবং বুঝুন। সাথে সাথে রাইটিং প্র্যাকটিস করুন। ফ্রি-হ্যান্ড লিখে ইংরেজী জানা কাউকে আপনার লেখা দেখান, তিনি যাতে ভুলগুলো বের করে দিতে পারেন। ম্যাথের জন্য সাইফুর'সেরই বইয়ের ম্যাথ পার্টটা ভালমতে প্র্যাকটিস করুন। ম্যাথে যদি সমস্যা হয় তাহলে কাপলান জিআরই/জিম্যাট ম্যাথ ওয়ার্কবুকটা ইন-ডেপথ প্র্যাকটিস করতে পারেন। ওখানে কিছু শর্টকাট দেওয়া আছে সেগুলো দেখুন। এনালিটিকাল এবিলিটি-র জন্য প্রিন্সটন রিভিউ ক্র্যাকিং দ্যা জিআরই থেকে পাজলের ট্যাকটিকসগুলো শিখে নিন। ওখানে ভালভাবে এক্সপ্লেইন করা আছে। ক্রিটিকাল রিজনিং-এর জন্য প্রিন্সটন রিভিউ ক্র্যাকিং দ্যা জিম্যাট দেখতে পারেন। ডাটা ইন্টারপ্রেটেশানের জন্যও প্রিন্সটন রিভিউ জিআরই আর সাফিসিয়েন্সির জন্য সেইম প্রিন্সটন রিভিউ ক্র্যাকিং দ্যা জিম্যাট থেকে পড়ুন। সেখানে শর্টকাটগুলো ভালমতে প্র্যাকটিস করুন।
প্র্যাকটিস করুন প্রচুর:
আইবিএ-র ভর্তি পরীক্ষায় সময় খুব কম, তাই পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে প্রচুর প্র্যাকটিস করুন। নাহয় সেখানে গিয়ে জানা প্রশ্নও ভুল করবেন। প্র্যাকটিসের জন্য সবচেয়ে ভাল হচ্ছে আইবিএ-র এমবিএ-র আগের বছরের প্রশ্নপত্র। সেগুলো সময় ধরে ম্যাথের জন্য ৩০/৩৫ মিনিট, ভারবালের জন্য ৩০/৩৫ মিনিট, এনালিটিকালের জন্য ১৫/২০ মিনিট, রাইটিংয়ের জন্য ২৫/৩০ মিনিট এভাবে সময় দিয়ে ঘড়ি হাতে অনুশীলন করুন। এটা যাস্ট একটা সাধারণ গাইডলাইন। আপনি সময়টাকে একটু এদিক ওদিক করে দেখতে পারেন। প্রথম প্রথম অনেক বেশি সময় লাগবে, তবে আস্তে আস্তে প্র্যাকটিস করতে থাকলে সময় কমে আসবে অনেক। যারা এগুলো প্র্যাকটিস করে ফেলেছেন অথচ হাতে এখনও প্রচুর সময় আছে তারা অফিসিয়াল জিম্যাট, অফিসিয়াল জিআরই, ব্যারন্স জিম্যাট/জিআরই থেকে প্র্যাকটিস করতে পারেন। তবে সাইফুর'সের এমবিএ বইয়ের অনুশীলনীগুলো করতে ভুলবেননা যেন।
পরীক্ষা:
এমবিএ পরীক্ষা সাধারণত ডিসেম্বরে হয়। এক্সিকিউটিভটা বোধ হয় মার্চের দিকে হয়। পরীক্ষা ২ ঘন্টার হয়। বেশিরভাগ সময়ই ১০০ মার্কের হলেও আগে অনেক সময় ৯০, ৯৫ বা ১০৫/১১০ এরকমও হয়েছে। ম্যাথে থাকে ৩০%, ভারবালে ৩০% এনালিটিকালে ১৫/২০% আর রাইটিং-এ ২০/২৫%। এখন মনে হয় রাইটিং-কে আলাদাভাবে পরীক্ষার শুরুতে ৩০ মিনিট সময়ে শেষ করতে হয়, তারপর অন্যপার্টগুলোর জন্য ১.৫ ঘন্টা সময় থাকে। (কেউ জানলে একটু আওয়াজ দিয়েন।) পরীক্ষায় গিয়ে সময় যাতে ভালভাবে ব্যবহার করতে পারেন সেজন্য বাসায় পরিক্ষার কন্ডিশানকে সিমুলেট করে প্রচুর প্র্যাকটিস করেন, সময় কিরকম লাগতেছে, ভুল কিরকম হচ্ছে সেগুলো খেয়াল করে উন্নতি করার চেষ্টা করনে। পরীক্ষার যথেষ্ঠ আগেই সেন্টারে যাবেন কারন সিটিং এরেন্জমেন্টে মাঝে মাঝে ঝামেলা হয়, যদিও খুব কম। পরীক্ষা সাধারণত শুক্রবারে হয়, তাই ট্রাফিক জ্যাম থাকেনা। ফরম যেকোন সময় নিলেও জমা দিবেন ডেডলাইনের ২/৩ দিন আগে। তাহলে আপনার সিট বিজনেস ফ্যাকাল্টি বা আইবিএ-তেই পড়বে যেখানে সিটিং এরেন্জমেন্ট আর পরীক্ষার পরিবেশ ভাল। পরীক্ষায় কিছুতেই নার্ভাস হবেননা, কারন কঠিন প্রশ্ন হলে সবার জন্যই কঠিন। আপনি এভাবে প্রেপ নিলে ভাল না করার কোন উপায় নেই। তাছাড়া ভাল না করলেও আপনি যতবার ইচ্ছে ততবার পরীক্ষা দিতে পারবেন। এটা মনে রাখলে আর নার্ভাসনেস ফিল করবেননা। আরেকটা যেটা করতে পারেন সেটা হচ্ছে আইবিএ-র এমবিএ আর বিবিএ ভর্তি পরিক্ষা মোটামোটি একই। যদিও এমবিএ-র প্রশ্নপত্র একটু কঠিন হয় বিবিএ থেকে, তবে প্যাটার্ণ একই থাকে। বিবিএ-র পরীক্ষাটা হয় এমবিএ-র এক-দেড়মাস আগে। যেকেউ, যেকোন বয়সে সেখানে পরীক্ষা দিতে পারে। আপনি একটা ফরম নিয়ে বিবিএ পরীক্ষাটা দিয়ে ফেলেন। আপনার এমবিএ ভর্তি পরীক্ষার জন্য একদম আসল পরিক্ষা হলে পরীক্ষা দেওয়ার প্রস্তু্তি হয়ে যাবে! পরে এমবিএ পরীক্ষার সময় ফ্যামিলিয়ারিটির জন্য ভাল করবেন।
ইন্টারভিউ:
রিটেনে সাধারণত ২৫০-৩০০ জনকে সিলেক্ট করে। এদএর মধ্য থেকে ইন্টারভিউর মাধ্যমে ১৩০-১৫০ জনকে ফাইনালি এডমিশান অফার দেয়। ইন্টারভিউতে আইবিএ-র ৫/৬ জন শিক্ষক থাকেন। তবে প্রশ্ন করে ২/৩ জন। ইন্টারভিউর জন্য এক্সিকিউটিভ ড্রেস পড়ে যাবেন। প্রশ্নগুলো স্ট্রেইটফরোয়ার্ড। আপনি কেন এমবিএ করছেন, আপনার ব্যাকগ্রাউন্ড এসব জিজ্ঞেস করবে। আর আপনার গ্র্যাড/আন্ডারগ্র্যাডের একই ডিসিপ্লিনের কোন শিক্ষক থাকলে তিনি সে বিষয়ে ব্যাসিক প্রশ্ন করবেন। সমসাময়িক পত্রপত্রিকায় হট কোন ইস্যু নিয়ে (রাজনৈতিক না, বিজনেস রিলেটেড) প্রশ্ন করতে পারেন। না জানলে, দুঃখিত আমি জানিনা বলবেন, ভরং করবেন না অথবা কথা ঘুরাবেন না। ইন্টারভিউর ম্যাক্সিমাম টাইম সাধারণত ১৫ মিনিট। আপনার লিখিত ভাল হলে ইন্টারভিউতে কম পেলেও আপনি চান্স পেয়ে যাবেন। যাবার আগে বাসায় কিছুটা প্র্যাকটিস করতে পারেন।
শর্টকাট:
যারা এত সিরিয়াসলি প্রেপ নিতে চাননা বা নিজের কনফিডেন্স নিয়ে চিন্তিত তাদের জন্য বলছি। আইবিএ-র প্রশ্নগুলো আসে অফিসিয়াল জিম্যাট গাইড, জিআরই বিগবুক, ব্যারন্স জিআরই আর জিম্যাট থেকে। মুখস্তবিদ্যা ভাল থাকলে এখানকার সবপ্রশ্ন মুখস্থ করে ফেলেন। একদম উত্তরসহ মুখস্থ। সাথে আগের বছরের প্রশ্নগুলো ভালমতে প্র্যাকটিস করেন। ৮০% প্রশ্ন কমন পড়ার ৯৫% গ্যারান্টি!! তবে কমন না পাইলে আমাকে মারতে আইসেননা। আমি এই পদ্ধতি সাপোর্ট করিনা। উপরের ডিটেলস পদ্ধতিটাই কাজে লাগান, ভবিষ্যতে অনেক কাজে দিবে।
ডিসক্লেইমার:
যারা ঘুমকে হারম করে, দিন-রাত এক করে, নাওয়া-খাওয়া এক করে, ছোটা-বড় বাথরুম বন্ধ করে, বন্ধু-বান্ধব আত্বীয়-স্বজন বন্ধ করে, টিভি-সিনেমা বন্ধকরে, ইহ জগৎ-পরজগৎ ভূলে গিয়ে, বই-খাতা কাগজ-কলম এক করে, ৩৬৫ দিন পড়াশুনা করে আই.বি.এ তে এডমিশন দিতে চান তারা দয়া করে ওই রকম ভাবে আইবিএ তে ডোকার চিন্তা না করাই ভাল।
কারন এর মানে হলে আপনার সেই পরিমান মেধা নেই, আর সেই মানের মেধা না থাকার ফরে ১ বছর সবকিছু বাদ দিয়ে পড়ার ফলে চান্স পাওয়া যেতে পারে কিন্তু ইনকোর্স/ক্লাস টেষ্ট পরিক্ষার জন্য তো ১ বছর টাইম পাবেন না।
সুতরাং ধরাটা সেখানেই খেতে হবে। অথচ বেশীর ভাগ ছেলে মেয়েই অত্যন্ত মেধাবী যারা ২/৩ মাসের বেশী না পড়েই চান্স পায়। অল্প মেধা নিয়ে অধিক মেধাবীদের সাথে লড়তে যাওয়া ঠিক না। ফেল মানেই বের করে দেওয়া, বিকল্প কোনো সুযোগ নেই।
বহু ছাত্র দেখেছি ১বছরের ঘুম হারাম করে চান্স পেয়ে পরে আর কোর্স শেষ করতে পারে না। তখন সত্যিই খারাপ লাগে, আর তার মত হতাশ অন্য কাউকে হতে দেখি নি।
বহু বছর ধরে আমার নিজের দেখা পরবর্তীতে কোর্স থেকে বাদ পড়া ছেলেদের পরিসংখ্যানের উপর ভিত্তি করে পরামর্শটা দিলাম।
যারা চেষ্টা করছেন সবার জন্য আর্শিবাদ রইল। চান্স পেলে দেখা হবে।
লেবেলসমূহ: পড়াশোনা
"বিদেশে উচ্চশিক্ষায় ১০টি টিপস"
এইচএসসি পাস করে কিংবা গ্র্যাজুয়েশন করে ভাবছেন undergrad or post-grad এর জন্য বিশ্বের অন্যতম ধনী-সুখী-সমৃদ্ধশালী অর্থনৈতিকভাবে বলিষ্ঠ দেশ কানাডা, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন কিংবা সুইজারল্যান্ড থেকে ডিগ্রিটা নিয়ে নিজের ক্যারিয়ারকে সমৃদ্ধ করবেন। ইন্টারনেট ঘেঁটেঘুটে অনেক তথ্য সংগ্রহ করলেন। পত্রিকার পাতায় কনস্যালট্যান্সি ফার্মের বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে ধরনা দিলেন অফিসে অফিসে। গাঁটের টাকা-পয়সাও খরচ হয়ে গেছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে Acceptance letter বা I-20 বা Offer of Admission আসার কোন লক্ষণ নেই। এদিকে সেশন প্রায় দরজার সামনে। কী করবেন, ভাবতে পারছেন না। নিচের ১০টি হটকেক Top-১০ টিপস মনে রাখুন। কাজে আসবে।
১। পাসপোর্ট তৈরি করুন নিখুঁতভাবে। পাসপোর্টের Signature ছবি যেন সুন্দর ও আন্তর্জাতিক মানের হয়। Valid Address লিখতে ভুলবেন না।
২। সব Certificate, Marksheet, Birth Registration সহ যাবতীয় সব উড়পঁসবহঃং ইংরেজিতে অনুবাদ করে রাখুন। প্রয়োজনে Transcript তুলে রাখুন।
৩। পরিবারের আর্থিক সামর্থ্য ও সহযোগিতার লেভেল বুঝে দেশ, বিশ্ববিদ্যালয়, কোর্স ও বিষয় নির্বাচন করুন। কোন কনসালট্যান্সি ফার্মের কাউন্সেলরের মিষ্টি কথায় তুষ্ট হয়ে হুট-হাট করে সিদ্ধান্ত নেবেন না। প্রয়োজনে অভিজ্ঞ ক্যারিয়ার কনসালট্যান্টের পরামর্শ নিন।
৪। Statement of Purpose লেখার ওপর নির্ভর করে আপনার Offer Letter ইস্যু হবে কী না? কিংবা আপনি Scholarship পাবেন কী না? তাই ভাল SOP লেখার জন্য অভিজ্ঞ ব্যক্তির সহায়তা নিতে পারেন।
৫। বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজের লেকচারার/প্রফেসরের কাছ থেকে নেয়ার সময় প্রয়োজনীয় তথ্য যথাযথভাবে লিখিয়ে নিন, যা আপনার ভর্তিকে Confirm করতে অনেক গুরুত্ব রাখে।
৬।IELTS, TOFEL, GRE, SAT, GMAT-এ ভাল Score এবং Extra Qualification Certificate না থাকলে অযথা বিদেশে পড়তে যাওয়ার শখ থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। কিংবা মাথা থেকে এসব চিন্তা ঝেড়ে ফেলে দিন। যারা মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে আপনাকে বিভ্রান্ত করছে, তাদের আপনি পরে খুঁজে পাবেন না।
৭। ভিসার হাইকমিশন বা দূতাবাসে ফাইল Submit করার ব্যাপারে খুব সতর্ক হন। যা যা সত্য ও সঠিক তাই লিখুন। কোন তথ্যই গোপন রাখবেন না। মনে রাখবেন একটা মিথ্যা তথ্য আপনাকে অনেক সুযোগের দরজা খোলার পথ বন্ধ করে দেবে। আর একটা প্রতিষ্ঠানের দরজা খুলে দেবে, তা হলো ‘কারাগার’।
৮। Embassy বা High Commission এ Visa Application করার সময় Financial Statement এবং Cover Letter এমন ভাবে Present করবেন, যাতে Visa Consular আপনার আর্থিক সচ্ছলতা, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং শিক্ষা শেষে আপনার দেশে ফিরে আসার ব্যাপারে একটা Crystal Clear ধারণা পেতে পারেন। কারণ, Visa Consular দেখতে চায় বিদেশে পড়তে গিয়ে আপনি নিজের পরিবারকে যেমন আর্থিক অনটনে রেখে যাননি এবং সেখানে গিয়ে আপনার নিজেরও অর্থাভাবে লেখাপড়া বন্ধ হবে না। এসব বিষয়ে বিদেশীরা খুবই যত্নবান ও দায়িত্বশীল।
৯। যদি নিতান্তই স্টুডেন্ট কনসালট্যান্সি ফার্মের ওপর নির্ভর করতেই হয়, তাহলে ওই প্রতিষ্ঠানের সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর নিন। যেমন_ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার Career History, Success story প্রতিষ্ঠানের বয়স, সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজের সঙ্গে চুক্তিপত্র, Recently Visa হয়েছে এমন কারও ব্যাপারে তথ্য ইত্যাদি।
১০। বন্ধু বিদেশ গেছে বলেই যে আপনাকে যেতে হবে, এমন কোন চুক্তি করে নিশ্চয়ই পৃথিবীতে আসেননি। তাই অন্য কারও প্ররোচনায় কিংবা বিজ্ঞাপনে বিভ্রান্ত না হয়ে পরিবারের অভিজ্ঞ, শিক্ষিত, প্রবাসী আত্মীয় সবার সঙ্গে খোলামেলা কথা বলে বাস্তব ও যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত নিন।
উচ্চশিক্ষার্থে বিদেশে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে গিয়ে দেশের বেসরকারি ও সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ হাতছাড়া করবেন না। পরে না পারবেন বিদেশে ভর্তি হতে কিংবা ভিসা পেতে, না পারবেন দেশে পড়াশোনা করতে!! অতএব হাতে যথেষ্ঠ সময় নিয়ে সেশন বুঝে করুন। উচ্চশিক্ষা শেষ করে দেশে ফিরে দেশের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করুন।
Main Article: সুপ্রিয় কুমার চক্রবর্তী
লেবেলসমূহ: পড়াশোনা
আপনি আপনার চিরুনী কোথায় রেখেছেন খুঁজে পাচ্ছেন না, দরজার চাবি যে বাসায় ঢুকে কোথায় রেখেছেন খুঁজে পাচ্ছেন না, এক রুম থেকে আরেক রুমে এসেছেন কিছু নেবার জন্য কিন্তু কি নেবার জন্য এসেছেন আর মনে নাই.. এ ধরনের সমস্যার মুখোমুখি আমরা প্রায়শই হয়ে থাকি।
কেউ কেউ বলে থাকেন আমার মেধা কম, যা পড়ি সব ভুলে যাই, তাদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ জানাতে চাই। হ্য়তো অনেকের অভ্যাস, পরিবেশ, প্রতিবেশ, অধ্যবসায়, মনোযোগ প্রভৃতি কারনে মুখস্ত করার প্রবণতা বেশি।
কোন কিছু মুখস্ত করা বা মস্তিস্কে কপি/ পেষ্ট করার জন্য যে পূর্বশর্ত রয়েছে তা হল মনোযোগ কোন কিছু মনে রাখতে গেলে অবশ্যই তার প্রতি আপনাকে মনোযোগী হতে হবে। আর আপনার মনোযোগ বৃদ্ধির জন্য অবশ্যই আপনাকে অনুশীলন করতে হবে।
আজ আপনাদের জন্য একটি ট্রেইনিং উপস্থাপন করব-
কিভাবে সব কিছু মনে রাখবেন
ব্রেইন আমাদের সবারই আছে, কিন্তু সমস্যা হলো আমরা সবাই এ জিনিসটার ক্ষমতা সম্পর্কে অবগত নই, আমাদের মস্তিস্ক আমাদের জন্য অসীম তথ্য ধারনের ক্ষমতা রাখে এবং ধারন করে, আমরা এর খুব ক্ষুদ্র অংশ্যই সঠিক কাজে ব্যাবহার করি।
মানুষের সফলতার একটাই গোপন রহস্য সেটা হলো 'সচেতনতার সাথে কঠোর অনুশীলন' আমরা বীজ রোপন ছাড়া গাছের আশা করতে পারি না, আগাছা আশা করতে পারি।
মার্ক টোয়েন বলেছিলেন "সবাই কেবল কপালের দোষ দেয়, কেউ এটার পরিবর্তনে কিছু করে না" আসলে আমরা অনেকে হয়তো মস্তিস্কের সঠিক ব্যাবহার করতে চাই.. কিন্তু উপায় জানি না।
আসুন ভুমিকা ছেড়ে শুরু করি...
আচ্ছা বলুন তো ট্রাফিক সিগনালের সবচেয়ে উপরে কোন লাইট টি থাকে? সবুজ নাকি লাল? মনে করুন আপনি একটি কুইজ প্রতিযোগিতায় বসে আছেন এবং আপনাকে সঠিক উত্তরটিই দিতে হবে - লাল নাকি সবুজ? জানি, খুব কমই আপনারা উত্তরটি সঠিক ভাবে দিতে পারবেন।
আমরা সবসময় রাস্তার সিগনাল গুলো দেখি কিন্তু এখানেও যে ব্যাপার কাজ করে সেটা হলো মনোযোগ আমরা আসলে সব কিছু দেখি কিন্তু লক্ষ্য করি না।
ট্রাফিক সিগনালে লাল সবসময় উপরে থাকে এবং সবুজ থাকে সবার নিচে..আর হলুদ বলার অপেক্ষা রাখেনা মাঝখানে থাকে।
আরেকটা প্রশ্ন : আচ্ছা বলুন তো আমাদের দশ টাকার নোটে কোন কোন স্থাপনার ছবি আছে যেকোন একটা বলতে পারলে আপনি পাশ।
আমরা দশ টাকার নোট সব সময় ব্যাবহার করি কিন্তু লক্ষ্য করি না যে আসলে কি কি আছে এতে।
দশ টাকার নোটে একপাশে থাকে বায়তুল মোকাররম মসজিদ, অপর পাশে জাতীয় সংসদ ভবন।
আসুন দেখি ব্রেন কিভাবে ঘটনা/স্মৃতি সংরক্ষন করে আমাদের ব্রেন আমাদের চোখে যা স্বাভাবিক সে রকম কিছু ধারন করলেও পর্যাপ্ত গুরুত্ব না পেলে মুছে দেয়। সাধারনত অস্বাভাবিক কিছু ব্রেনকে বেশি আলোড়িত করে এবং তা স্থায়ী সংরক্ষন সম্ভব হয়। আপনি আপনার ছোট বেলার কোন একটা দুর্ঘটনা,মজার, অথবা মধুর স্মৃতির কথা ভাবুন দেখবেন আপনার চোখের সামনে পরিস্কার ভেসে উঠছে সেই ঘটনা, কিন্তু আপনি যদি কাল দুপুরে কি দিয়ে ভাত খেলেন মনে করতে চান হোচট খেতে হবে কারন এটা একটা একটি স্বাভাবিক ঘটনা।
একারনেই আমরা কোন কিছু চাবি,চিরুনী ইত্যাদি খুঁজে মরি কারন আমরা যখন এগুলো নিয়ে কাজ করি তখন এগুলোর দিকে গুরুত্ব দিই না।
আপনার ব্রেনকে একটু টাইট দিলেই (প্রশিক্ষন) দিলেই সব মনে করতে পারবেন যে কোন কবিতা, নোট, আর্টিকেল হুবহু বলে দিতে পারবেন এমন কি অংকের ক্যালকুলেশন আপনি ক্যালকুলেটরের থেকে দ্রুত করতে পারবেন। মনে কইরেন না এই পুষ্ট পরার সাথে সাথেই সব পারবেন। আপনাকে প্রচুর সচেতনতার সাথে অনুশীলন করতে হবে। একটি প্রশিক্ষিত ব্রেন কোন কিছু ভোলে না। আপনাকে যেটা করতে হবে আপনার ব্রেনের উপর আপনাকে আস্থা রাখতে হবে। তাহলেই প্রয়োজনে সে সাড়া দেবেই।
মনোযোগ দিয়ে তো সব কিছু মস্তিস্কে ঢুকানো হলো এখন তা প্রয়োজনে বের করব কেমন করে?
যারা প্রোগামার তারা কোন একটি মডুইউল ফাংশনকে যেভাবে কল করে ব্রেন থেকে তথ্য অনেকটা সেভাবে আমরা কল করব।
ননটেকীদের বলছি আপনি একটি ড্রয়ারে যদি লেবেল দিয়ে ফাইল সাজিয়ে রাখেন তাহলে লেবেল দেখেই আপনি প্রয়োজনীয় ফাইল টি বের করতে পারবেন।
আমরা আমাদের ব্রেন থেকে অনেকটা সেভাবেই তথ্য বের করব।
প্রথম অধ্যায়ে যাবার আগে,
অনুশীলন -১
এখানে ১৫ টি বিভিন্ন জিনিসের নাম দেয়া আছে- আপনারা মুখস্ত করার চেষ্টা করুন-
বই, অ্যাসট্রে,গরু, জামা, দিয়াশলাই, শেভিং রেজর, আপেল, মানি ব্যাগ, কড়াই, ঘড়ি, চশমা, দরজার নব, বোতল, সোফা,জীবানু।
মুখস্ত শেষে একটি কাগজে না দেখে লিখুন এবং অবশ্যই যেভাবে সাজানো আছে সেভাবে, দেখুন তো কয়টি উত্তর সঠিক হয়েছে, প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ২ নম্বর, ৩০ এর মধ্যে কত পেলেন দেখুন।
বিঃদ্রঃ লেসনের কোন অংশ স্কিপ না করার জন্য অনুরোধ করছি।
প্রথম অধ্যায় - লিংক সিস্টেম বা গিট্টু পদ্ধতিকেউ কেউ বলে থাকেন আমার মেধা কম, যা পড়ি সব ভুলে যাই, তাদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ জানাতে চাই। হ্য়তো অনেকের অভ্যাস, পরিবেশ, প্রতিবেশ, অধ্যবসায়, মনোযোগ প্রভৃতি কারনে মুখস্ত করার প্রবণতা বেশি।
কোন কিছু মুখস্ত করা বা মস্তিস্কে কপি/ পেষ্ট করার জন্য যে পূর্বশর্ত রয়েছে তা হল মনোযোগ কোন কিছু মনে রাখতে গেলে অবশ্যই তার প্রতি আপনাকে মনোযোগী হতে হবে। আর আপনার মনোযোগ বৃদ্ধির জন্য অবশ্যই আপনাকে অনুশীলন করতে হবে।
আজ আপনাদের জন্য একটি ট্রেইনিং উপস্থাপন করব-
কিভাবে সব কিছু মনে রাখবেন
ব্রেইন আমাদের সবারই আছে, কিন্তু সমস্যা হলো আমরা সবাই এ জিনিসটার ক্ষমতা সম্পর্কে অবগত নই, আমাদের মস্তিস্ক আমাদের জন্য অসীম তথ্য ধারনের ক্ষমতা রাখে এবং ধারন করে, আমরা এর খুব ক্ষুদ্র অংশ্যই সঠিক কাজে ব্যাবহার করি।
মানুষের সফলতার একটাই গোপন রহস্য সেটা হলো 'সচেতনতার সাথে কঠোর অনুশীলন' আমরা বীজ রোপন ছাড়া গাছের আশা করতে পারি না, আগাছা আশা করতে পারি।
মার্ক টোয়েন বলেছিলেন "সবাই কেবল কপালের দোষ দেয়, কেউ এটার পরিবর্তনে কিছু করে না" আসলে আমরা অনেকে হয়তো মস্তিস্কের সঠিক ব্যাবহার করতে চাই.. কিন্তু উপায় জানি না।
আসুন ভুমিকা ছেড়ে শুরু করি...
আচ্ছা বলুন তো ট্রাফিক সিগনালের সবচেয়ে উপরে কোন লাইট টি থাকে? সবুজ নাকি লাল? মনে করুন আপনি একটি কুইজ প্রতিযোগিতায় বসে আছেন এবং আপনাকে সঠিক উত্তরটিই দিতে হবে - লাল নাকি সবুজ? জানি, খুব কমই আপনারা উত্তরটি সঠিক ভাবে দিতে পারবেন।
আমরা সবসময় রাস্তার সিগনাল গুলো দেখি কিন্তু এখানেও যে ব্যাপার কাজ করে সেটা হলো মনোযোগ আমরা আসলে সব কিছু দেখি কিন্তু লক্ষ্য করি না।
ট্রাফিক সিগনালে লাল সবসময় উপরে থাকে এবং সবুজ থাকে সবার নিচে..আর হলুদ বলার অপেক্ষা রাখেনা মাঝখানে থাকে।
আরেকটা প্রশ্ন : আচ্ছা বলুন তো আমাদের দশ টাকার নোটে কোন কোন স্থাপনার ছবি আছে যেকোন একটা বলতে পারলে আপনি পাশ।
আমরা দশ টাকার নোট সব সময় ব্যাবহার করি কিন্তু লক্ষ্য করি না যে আসলে কি কি আছে এতে।
দশ টাকার নোটে একপাশে থাকে বায়তুল মোকাররম মসজিদ, অপর পাশে জাতীয় সংসদ ভবন।
আসুন দেখি ব্রেন কিভাবে ঘটনা/স্মৃতি সংরক্ষন করে আমাদের ব্রেন আমাদের চোখে যা স্বাভাবিক সে রকম কিছু ধারন করলেও পর্যাপ্ত গুরুত্ব না পেলে মুছে দেয়। সাধারনত অস্বাভাবিক কিছু ব্রেনকে বেশি আলোড়িত করে এবং তা স্থায়ী সংরক্ষন সম্ভব হয়। আপনি আপনার ছোট বেলার কোন একটা দুর্ঘটনা,মজার, অথবা মধুর স্মৃতির কথা ভাবুন দেখবেন আপনার চোখের সামনে পরিস্কার ভেসে উঠছে সেই ঘটনা, কিন্তু আপনি যদি কাল দুপুরে কি দিয়ে ভাত খেলেন মনে করতে চান হোচট খেতে হবে কারন এটা একটা একটি স্বাভাবিক ঘটনা।
একারনেই আমরা কোন কিছু চাবি,চিরুনী ইত্যাদি খুঁজে মরি কারন আমরা যখন এগুলো নিয়ে কাজ করি তখন এগুলোর দিকে গুরুত্ব দিই না।
আপনার ব্রেনকে একটু টাইট দিলেই (প্রশিক্ষন) দিলেই সব মনে করতে পারবেন যে কোন কবিতা, নোট, আর্টিকেল হুবহু বলে দিতে পারবেন এমন কি অংকের ক্যালকুলেশন আপনি ক্যালকুলেটরের থেকে দ্রুত করতে পারবেন। মনে কইরেন না এই পুষ্ট পরার সাথে সাথেই সব পারবেন। আপনাকে প্রচুর সচেতনতার সাথে অনুশীলন করতে হবে। একটি প্রশিক্ষিত ব্রেন কোন কিছু ভোলে না। আপনাকে যেটা করতে হবে আপনার ব্রেনের উপর আপনাকে আস্থা রাখতে হবে। তাহলেই প্রয়োজনে সে সাড়া দেবেই।
মনোযোগ দিয়ে তো সব কিছু মস্তিস্কে ঢুকানো হলো এখন তা প্রয়োজনে বের করব কেমন করে?
যারা প্রোগামার তারা কোন একটি মডুইউল ফাংশনকে যেভাবে কল করে ব্রেন থেকে তথ্য অনেকটা সেভাবে আমরা কল করব।
ননটেকীদের বলছি আপনি একটি ড্রয়ারে যদি লেবেল দিয়ে ফাইল সাজিয়ে রাখেন তাহলে লেবেল দেখেই আপনি প্রয়োজনীয় ফাইল টি বের করতে পারবেন।
আমরা আমাদের ব্রেন থেকে অনেকটা সেভাবেই তথ্য বের করব।
প্রথম অধ্যায়ে যাবার আগে,
অনুশীলন -১
এখানে ১৫ টি বিভিন্ন জিনিসের নাম দেয়া আছে- আপনারা মুখস্ত করার চেষ্টা করুন-
বই, অ্যাসট্রে,গরু, জামা, দিয়াশলাই, শেভিং রেজর, আপেল, মানি ব্যাগ, কড়াই, ঘড়ি, চশমা, দরজার নব, বোতল, সোফা,জীবানু।
মুখস্ত শেষে একটি কাগজে না দেখে লিখুন এবং অবশ্যই যেভাবে সাজানো আছে সেভাবে, দেখুন তো কয়টি উত্তর সঠিক হয়েছে, প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ২ নম্বর, ৩০ এর মধ্যে কত পেলেন দেখুন।
বিঃদ্রঃ লেসনের কোন অংশ স্কিপ না করার জন্য অনুরোধ করছি।
"একজন মানুষের আসল সম্পদ হলো তার স্মৃতি শক্তি, যার থাকার কারনে সে অনেক ধনী, না থাকার কারনে সে গরীব" -- আলেক্সান্ডার স্মিথ
লিংক মানে হলো সংযোগ সাধন।আপনারা এখন থেকে সব কিছু এমন ভাবে মুখস্ত করতে পারবেন যা আগে সম্ভব হয়নি। কারন আপনার মস্তিস্ক প্রশিক্ষিত হতে যাচ্ছে।
আসল মুখস্তকরনের আগে আমাকে যে কথা বলতেই হচ্ছে তা হলো- একটি প্রশিক্ষিত মস্তিস্ক সব কিছু ধারন করবে মানসিক ছবি ধারনকে কেন্দ্র করে। আর আপনি কোন কিছু মুখস্ত করার আগে যদি অস্বাভাবিক ছবি কল্পনা করেন সেটা হতে পারে হাস্যকর অথবা ভাংচুর টাইপের, হরর যা খুশি কিন্তু শর্ত হলো স্বাভাবিক হইতে পারবে না। আমি আপনাদের হাস্যকর কল্পনা করে দেখাবো।স্বাভাবিক ভাবে হাত দিয়া খাইলে কল্পনায় খাইতে হবে পা দিয়া এই টাইপের। আপনি যদি এ কাজটি অর্থাৎ কল্পনা ঠিক মতো করতে পারেন তাইলে আপনার ৫০% মুখস্ত কমপ্লিট।
এখন কাজ হলো খালি লিংক বা সংযোগ করা- উপরের অনুশীলনী ১ থেকে আমি দেখিয়ে দিচ্ছি -
বই, অ্যাসট্রে,গরু, জামা, দিয়াশলাই, শেভিং রেজর, আপেল, মানি ব্যাগ, কড়াই, ঘড়ি, চশমা, দরজার নব, বোতল, সোফা,জীবানু।
প্রথমে আছে 'বই' মনে মনে একটা বইয়ের ছবি কল্পনা করুন শুধু 'বই' শব্দটার দিকে খেয়াল দিবেন না বইয়ের ছবি কল্পনার দিকে পূর্ণ মনোযোগ দিন হতে পারে এটা আপনার কোনো পছন্দের বই, তবে যা কল্পনা করবেন অবশ্যই অনেক বড় করে অস্বাভাবিক করে কল্পনা করবেন যেমন চারতলা বাড়ি সমান বই।
এখন পড়ের শব্দ হলো অ্যাসট্রে এখন আপনার কাজ হলো বইয়ের সাথে অ্যাসট্রের সংযোগ ঘটানো কল্পনা করুন চারতলা সমান বইয়ের প্রতি পাতায় হাজার হাজার অ্যাসট্রে তা দিয়া খালি কলের চিমনির মত ধুয়া উড়তেছে। যা কল্পনা করবেন অবশ্যই বেশি বেশি।
যদিও আমার লেখা অনেক আপনার কল্পনা করতে লাগবে এক সেকেন্ডের শত ভাগের এক ভাগ সময়ে
তার পরের শব্দ গরু, এখন আপনাকে গরুর সাথে অ্যাসট্রের সংযোগ করতে হবে,
কল্পনা করুন একটি হাতির সমান গরু চুরুট খেয়ে অ্যাস ফেলছে অ্যাসট্রেতে।
গরুর পরে জামা- কল্পনা করুন একটি হাতির সমান গরু, রঙচঙা জামা গায়ে দাত কেলিয়ে ফটোসেশন করছে..
জামার পরে দিয়াশলাই- কল্পনা করুন একটা ইয়া বড় দিয়াশলাইয়ের বাক্সে হাজার হাজার জামা রাখা আছে..
দিয়াশলাইয়ের পরে শেভিং রেজর, শেভিং রেজরের পরে আপেল, আপেলের পরে মানি ব্যাগ, ........ জীবানু আপনি আপনার নিজের মত করে কল্পনা করুন।
মনে রাখবেন যাই কল্পনা করুন না কেন তা যেন অনেক বড় বা বেশি এবং অস্বাভাবিক হয়
মুখস্ত শেষে যখন মনে করবেন তখন যে সমস্যা হয় তা হল প্রথম শব্দ কি ছিল আর প্রথম শব্দ মনে থাকলেও লিষ্ট কখন শেষ হইলো এইটা বুঝা যায় না।
প্রথম যে শব্দ তার সাথে আপনার সাথে গিট্টু লাগাই দিবেন তাইলেই হয়া গেলো।
এইবার লাষ্টের জীবানুর সাথে ফাষ্টের বইয়ের গিট্টু লাগাই দেন, তাইলে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার লিষ্ট শেষ হইছে।
(আকাশ_পাগলার প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে)
এইটা যেহেতু গিট্টু পদ্ধতি, তাই আপনাকে ৪/৫ এরকম সিরিয়াল মনে রাখতে হবে না, আপনি যেটা করবেন তা হলো খালি একটার পর একটা গিট্টু লাগাবেন, আসেন বিস্তারিত দেখাই...
প্রথমে আছে বই আপনি বইয়ের সাথে আপনার নিজের গিট্টু লাগান, বই এর পর অ্যাসট্রে, এর সাথে বই এর গিট্টু লাগান, তারপর গরু, এর সাথে অ্যাসট্রের গিট্টু লাগেন বইকে নিয়া আর কল্পনার দরকার নাই, গরুর পর জামা, শুধু জামা আর গরুতে গিট্টু লাগান, তারপর দিয়াশলাই,তারপর শেভিং রেজর,,,,,,,,,জীবানু থাকে শেষে এর সাথে আবার প্রথমের বইয়ের গিট্টু লাগান। এভাবে যে শব্দটা নতুন ঠিক তার আগের শব্দটার সাথে গিট্টু লাগাবেন।
মনে করার সময়, এমন হতে পারে যে প্রথমে কি ছিল আপনি ভুইলা গেছেন তাইলে আপনি আপনার নিজের কথা মনে করেন দেখবেন বইয়ের কথা মনে পড়ছে, এবার বইয়ের কথা চিন্তা করেন, অ্যাসট্রে মনে পড়ে গেল, অ্যাসট্রের কথা চিন্তা করতে গেলেই গরু আসল কিনা কন? গরুর পর আসল জামা, এই তো শুরু হয়া গেল বায়োস্কোপের খেলা...
জামার পরে এই তো আইল দিয়াশলাই, আইল আইল আইয়া পড়ল শেভিং রেজর, তারপরেতে দেখা গেল একটি আপেল....চইলা আসল এক গাদা জীবানু, তারপরেতে? তারপরেতে আসল গিয়া বই, -বই? বইতো প্রথমেই দেখছি B:-) ।
তারমাইনে আপনার লিষ্ট শেষ The End.
সব শেষে সিরিয়ালি শব্দগুলান একটা কাগজে মুখস্ত লিখে ফেলেন, দেখেন তো এইবার ৩০ এ কত পাইছেন (২৮ এর নিচে পাইলে ফেল)
লেবেলসমূহ: পড়াশোনা
ইংরেজী রিডিং ক্ষমতা বাড়াতে আমাদের শব্দের ব্রিজ তৈরী করার স্টাইল ফলো করতে হবে৷ মানে ইংরেজী ভাষার শব্দগুলিকে একটা ব্রিজের মাঝে ফেলে আমাদের সেই ব্রিজটাকে ফলো করতে হবে। ইংরেজী ভাষায় বাক্যগুলির প্রাণ হল "ভার্ব" বা ক্রিয়াপদ৷ এটা যদি উত্তর-দক্ষিণ নির্ণায়ক কম্পাসের মত হয় তাহলে সাবজেক্ট বা "ক্রিয়াপদটি যার উপর প্রযোজ্য" সে হল উত্তরদিক৷ সবশেষে প্রিপোজিশন বা "অব্যয়"গুলি হল সেদিকে যাওয়ার রাস্তা৷
তাহলে পুরো প্রসেসটা দাঁড়ালো: প্রথমে ক্রিয়াপদটি বাক্যের ভাব তুলে ধরবে - এরপর কোন একটি সাবজেক্ট বুঝাবে ক্রিয়াপদটি কোন প্রেক্ষিতে আসছে এবং সবশেষে এই বাক্যটির অর্থটি এক বা একাধিক প্রিপোজিশন বা কনজাংশন দিয়ে অন্য কোন অর্থের সাথে যুক্ত হবে
কথা না বাড়িয়ে উদাহরণ দিয়েই বলি৷ নিচের লাইনটি দেখুন:
Omitting the definite article “the” with “public good” avoids the dubious assumption that there is ever a single, knowable public good, and in any case people rarely if ever agree on what that might be; rather, this definition merely says that the benefactor intends a “public” rather than an exclusively “private” good or benefit. The inclusion of “quality of life” ensures the strong humanistic emphasis of the Promethean archetype. ( ধাক্কা খেলে খেতে পারেন, উইকি থেকে নেয়া একটি লাইন ফিলানথ্রোপি বিষয়ে, আশা করি এবিষয়ে কারো পূর্বধারণা নাই সুতরাং টেস্টটা একটা অজানা প্যারাগ্রাফ টেস্ট হিসেবে কাজ করবে )
শুরু করি আমরা: পরিচিত শব্দই সব তাই পড়ে যেতে থাকি dubious পর্যন্ত৷ এর মানে জানিনা সুতরাং ব্রেক৷ আমরা এর আগে একটা ভার্ব পেলাম: Omitting ৷ এটা আছে প্রেজেন্ট কন্টিনিউয়াস ফর্মে অর্থাৎ কিছু একটা করছি এমন কোন একটা ব্যাপার এবং যেহেতু এর মানে বাদ দেয়া সুতরাং কিছু একটা বাদ দিয়ে কাজ করছি এমন একটা মিনিং সামনে আসতে যাচ্ছে৷ এরপরের ভার্ব Avoid ৷ অর্থাৎ avoid এর মানে থেকে মোটামুটি স্পষ্ট কিছু একটা এড়ানোর কথা আসবে৷ আপাতত আর কোন ভার্ব নাই, লাইনও শেষ হয়নি (কোন ফুলস্টপ পাইনি এখনো আমরা) তাই আমরা আরো কিছুদূর পড়ি৷
সেমিকোলন পেলাম একটা৷ এ পর্যন্ত আসতে আমরা ভার্ব পেলাম: is, agree, might............... এরমাঝে iS কোন কাজের না কারণ ওটা কোন সাবজেক্টে সাপোর্ট দিতে আসে, এর মত সরাসরি কোন অর্থ দিতে পারে না৷ এর সামনের সাবজেক্ট হল There......... অর্থাৎ এখানে কিছু একটার অস্তিত্ব আছে বলা হচ্ছে৷ ( He থাকলে বুঝতাম কোন ব্যক্তি মানে কিছু একটা বলা হবে)৷ Agree মানে একমত হওয়া৷ সবশেষে আছে might ( may-might-might) যা কোন সম্ভাবনা বুঝাতে আসে৷
এবার এক করুন জানা ভার্বগুলি: (Omit) বাদ দেয়া, (Avoid) এড়ানো, (There is) কোন একটা কিছুর অস্তিত্ব, (Agree) একমত হওয়া, (might) সম্ভাবনা৷ এক করে কি পাচ্ছেন কিছু ?? নিশ্চয়ই ভাবছেন এতগুলি মনে রাখবেন কিভাবে ?? উত্তর: এবার সাবজেক্টগুলিকে ফলো করা শুরু করুন৷
Omitting the definite article নিশ্চিতভাবে কোন আর্টিকেলকে বলছে, avoid বলছে dubious assumption(ধারণা) কে বাদ দিচ্ছে, ever a single, knowable public good, and in any case people বলছে (people)মানুষজনকে ( সিঙ্গেল, নো-য়েবল, পাবলিক, গুড সবগুলি বিশেষণ সুতরাং এগুলি বাক্যকে অর্থবহ করতে এসেছে, বাক্যকে লিড করতে নয়৷ বিশেষ্যগুলি বাক্যকে লিড করবে), agree on what that বলছে কোন একটা কিছুকে এবং শেষে এটারই সম্ভাবনাকে বলছে৷
সবশেষে প্রিপোজিশন বা কনজাংশন: এখানে আছে that যা avoid এর পরে এসেছে, সুতরাং এটা নিশ্চিতভাবে that-এর আগে যা আছে তাকেই টেনে নিয়ে যাবে৷ এর আগের ভার্বসহ সাবজেক্টটা আছে , সুতরাং এরপরে যা আসবে তা এটারই এক্সটেনশন হবে৷
তাহলে মিনিংটা কি দাঁড়ালো ?? এরকম মনে হয়: নির্দিষ্ট কোন একটি আর্টিকেলের একটি কথাকে বাদ দেয়াতে সেটা কোন একটা অ্যাজাম্পশনকে এড়িয়ে গেল৷
অর্থাৎ ওভারঅল দাঁড়ালো এই: আমরা ভার্বগুলিকে সনাক্ত করলাম, সেটার সাথে কোন বিশেষ্য ব্যবহৃত হল সেটাকে চিহ্নিত করলাম এবং সবশেষে এই ক্রিয়াপদ-বিশেষ্য কম্বিনেশন কোন প্রিপোজিশন বা কনজাংশন দিয়ে যুক্ত নাকি তা বের করে সবগুলি মিনিংকে এক করলাম
লেবেলসমূহ: পড়াশোনা
Click This Link
http://www.ego4u.com
http://www.englishpage.com
http://www.learnenglish.de
http://www.englishgrammarsecrets.com
http://www.learnenglish.org.uk
http://www.clearenglishlanguage.com
আইইএলটিএস প্রস্তুতি
Click This Link
http://www.ielts-exam.com
http://www.ielts.studyau.com
http://www.candidates.combridgeesol.org/cs
http://www.cross-link.com/ielts-tutor.html
http://www.uefap.co.uk
ইংরেজি কথোপকথন
http://www.audioenglish.net
http://www.focusenglish.com
http://www.englishcommunications.com
http://www.teachingenglish.org.uk
http://www.yourenglishonline.com
বাংলা ভাষায় ইংরেজি শিক্ষা
http://www.bbcjanala.com
শিশুদের জন্য ইংরেজি শিক্ষা
http://www.ego4u.com/en/cram-up/writing
http://www.larningforkids.org
http://www.english-4-kids.com
সংগ্রহ=কালের কন্ঠ
লেবেলসমূহ: পড়াশোনা
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)