যারা আইবিএ-তে ভর্তি পরীক্ষা দিবেন তাদের জন্য উপদেশনামা!!


আইবিএ-র এমবিএ যারা দেশে থাকতে চান তাদের জন্য সবচেয়ে ভাল অপশন
দেশে চাকরি করার জন্য আইবিএ-র এমবিএ করার থেকে ভাল কোন অপশান নেই
কাদের জন্য: আসলে হওয়া উচিৎ কাদের জন্য নয়?? আপনি যেকোন ব্যাকগ্রাউন্ডেরও হোন কোন সমস্যা নেইবাংলা পড়ুন বা ইতিহাস পড়ুন, বিজনেস পড়ুন বা ইন্জিনিয়ারিং পড়ুন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুন বা বুয়েটে পড়ুন আপনার ব্যাচেলর ডিগ্রী থাকলেই পরীক্ষা দিতে পারবেনএকটা মিনিমাম রিকোয়ারমেন্ট আছে যেটা সবাই মিট করে

কেন আইবিএ-র এমবিএ: আপনি যদি দেশে সরকারী চাকরিতে গিয়ে ঘুষ খাইতে না চান বা আপনার কোন মামা-চাচা আপনাকে চাকরি দেওয়ার মত এরকম কেউ নাই আর বিজনেস করারও ইচ্ছে বা ক্যাপিট্যাল না থাকে, তাহলে দেশে থেকেই ভাল চাকরি করে মিডলক্লাস বা আপার-মিডলক্লাস লাইফ লিড করার জন্য আইবিএ-র এমবিএ-র কোন বিকল্প নেই
আইবিএ-র এমবিএ করে আপনি মোটামোটি ভাল প্লেসমেন্টের নিশ্চয়তা পাবেনএখানে দুধরণের এমবিএ আছেরেগুলার আর এক্সিকিউটিভএক্সিকিউটিভ এমবিএ-তে তিনবছরের চাকরির অভিজ্ঞতা লাগেতবে এক্সিকিউটিভের এডমিশান টেস্ট একটু ইজি হয়কোন ম্যাথ পার্ট থাকেনা চাকরির অভিজ্ঞতা থাকলে এক্সিকিউটিভে যাওয়াই ভালনাহয় রেগুলারটাতে যাবেনএক্সিকিউটিভে অবশ্য (মনে হয়) টাকাও অনেক বেশি লাগেরেগুলারে টাকা তেমন খরচ হয়না

এডমিশান টেস্ট: যুক্তরাষ্ট্রে এমবিএ-তে ভর্তি হতে গেলে অনেক ঝামেলাজিম্যাট দাও, টোফেল দাও, স্কোর পাঠাও, এডমিশান রচনা লিখ, ইন্টারভিউ দাওকত যে ঝামেলা, যারা এটার ভিতর দিয়ে গিয়েছেন তারা জানবেন আইবিএ-তে একটা ভর্তি পরীক্ষা আর একটা ইন্টারভিউ, এ দুটাই যথেষ্ঠ ঝামেলাবিহীন বলা যায়ইন্টারভিউটাও একদম ইজিতাই সবচেয়ে বেশি মনোযোগ দিতে হবে এডমিশান টেস্টের দিকেআপনি এডমিশান টেস্টে ভাল করলেই মোটামোটি নিশ্চিত চান্স পাওয়াতবে মনে রাখা দরকার দেশের একমাত্র মানসম্মত এমবিএ হওয়ার জন্য এখানে প্রচুর কম্পিটিশানযদিও এই "মানসম্মত" বলতে আমি বাংলাদেশের স্ট্যান্ডার্ডে মানসম্মতকেই বুঝাচ্ছিঅবশ্য আইবিএ-তে প্রচুর আউল-ফাউল শিক্ষক আছেনসেটা না ধরাই বেটারএডমিশান টেস্টে কি কি থাকে সেটা নিয়ে কথা বলছি প্রথমে

ল্যাংগুয়েজ এন্ড কমিউনিকেশান: এরকম ফ্যান্সি নাম থাকলেও আসলে এটা হচ্ছে ভারবাল/ইংলিশ সেকশান
এখানে কয়েকধরনের প্রশ্ন থাকে:
ভোকাবুলারি-বেসড প্রশ্ন: এখানে সিননিমস(সমার্থক শব্দ), এন্টনিমস(বিপরীত শব্দ) আর এনালজি এই তিনটা ক্যাটাগরির প্রশ্ন থাকতে পারেকোন কোন বছর এই ক্যাটাগরি থেকে কোন প্রশ্নই আসেনাতবে এখানে ভাল দখল থাকলে সেটা ইংলিশ সেকশানের অন্যসব প্রশ্নের জন্যও ভাল উপকারে আসেপ্রত্যেকটা প্রশ্নের জন্য পাঁচটা চয়েস থাকেএনালজি প্রশ্নগুলো একটু ভিন্নএখানে এক জোড়া শব্দ থাকে প্রশ্ন হিসেবে আর এ দুটা শব্দের মধ্যকার সম্পর্ক যেরকম একই সম্পর্কের আরেক জোড়া শব্দ আনসার চয়েস থেকে বেছে নিতে হয়
রিডিং কম্প্রিহেনশান: রিডিং কম্প্রিহেনশানে সাধারণত একটা পেসেজ থাকে যেখান থেকে ৪/৫টা প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়অনেক সময় ছোট ছোট দুটা পেসেজ থাকে, প্রত্যেকটা পেসেজের জন্য ২/৩টা প্রশ্ন থাকেএই রিডিং কম্প্রিহেনশানগুলো সারাজীবন যে ধরণের রিডিং কম্প্রিহেনশান পন্ঞম শ্রেনী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত করেছেন সেগুলার মতইতবে সময় কম থাকে বলে এটার জন্য ট্যাকটিকস একটু ভিন্নআপনার যদি ভাল রিডিং হ্যাবিট থাকে তাহলে এটা ইজি হয়ে যাবে
সেন্টেন্স কমপ্লেশান: এটা সবসময় থাকেনাকোন কোন বছর থাকেএখানে একটা লম্বা সেন্টেন্স থাকে যার একটা বা দুটা শুন্যস্থান থাকেশুন্যস্থান পূরণই বলা যায়সেন্টেন্সটার মিনিং বুঝা জরূরী আর ভাল ভোকাবুলারী থাকা দরকার এখানে ভাল করার জন্য
গ্রামার: গ্রামার শব্দটা দেখে ভয় পাওয়ার কারন নেইএখানে আপনাকে টেন্স, ভয়েস, নেরেশান এসব করতে হবেনাএখানে সাধারণত সেন্টেন্স কারেকশান, পিনপয়েন্টিং এররস এই দুইটা আইটেমের প্রশ্ন থাকতে পারেপিনপয়েন্টিং এররসে একটা লম্বা সেন্টেন্স থাকে যার পাঁচটা/চারটা পার্ট আন্ডারলাইনড থাকেএখানে একটা ভুল থাকে যেটা খুঁজে বের করতে হয়এটা সবচেয়ে সহজ সেকশানটোফেল সিবিট-র বইয়ে এধরনের প্রচুর এক্সারসাইজ থাকেসেন্টেন্স কারেকশানে একটা সেন্টেন্স থাকে যার কিছু অংশ বা পুরোটাই আন্ডারলাইন থাকে আন্ডারলাইনকৃত অংশে কোন একটা ভুল থাকে, সেটা আনসার চয়েস দেখে ঠিক করতে হয়এটা জিম্যাট থেকে আসে

কোয়ান্টিটেটিভ: এডমিশান টেস্টের ২য় অংশটা হল ম্যাথ বা কোয়ান্টিটেটিভ
এখানে হাইস্কুল লেভেলের এরিথমেটিক, জিয়মেট্রি, এলজেব্রা আর ওয়ার্ড প্রবলেম আসেএটা মোটামোটি স্ট্রেইট ফরওয়ার্ড, তাই তেমন আলোচনায় যাচ্ছিনাএক্সিকিউটিভে এটা থাকেনা

এনালিটিকাল এবিলিটি:
এনালিটিকাল এবিলিটিতে দুধরণের প্রশ্ন থাকতে পারে
পাজল আর ক্রিটিকাল রিজনিংপাজলে একটা লম্বা পেসেজের মত থাকে যেখানে বিভিন্ন তথ্য দেওয়া থাকবেযেমন ক খ গ ঘ চারজন একটা গোলটেবিলে বসবেক, খ-র পাশে বসতে চাই, খ আবার গ-য়ের পাশে বসবেনাক ঘ-য়ের পাশ বসলে গ ক-য়ের পাশে বসবেনাএ রকমই হয়ক্রিটিকাল রিজনিং-এ একটা ৪/৫ লাইনের প্যসেজ থাকে, সেটার উপর বেইস করে আনসার চয়েজ থেকে কনক্লুশানকে উইকেন/স্ট্রেংথেন বা কনক্লুশান ড্র করা, সিমিলার এক্সাম্পল দেয়া এসব করতে হয়এ দুটা ছাড়াও আরো দুটা সেকশান থাকতে পারেডাটা সাফিসিয়েন্সি আর ডাটা ইন্টারপ্রেটেশানএ দুটা আসলে ম্যাথের পার্ট হওয়া উচিৎ কিন্তু আইবিএ-তে বেশিরভাগই এগুলা এনালিটিকালের পার্ট হিসেবে আসেকয়েকবার অবশ্য ম্যাথের পার্ট হিসেবেও এসেছেডাটা সাফিসিয়েন্সি একটু কঠিন যা জিম্যাট থেকে আসে আর ডাটা ইন্টারপ্রেটেশান আসে জিআরই থেকেইন্টারপ্রেটেশানে পাইচার্ট, বারডায়াগ্রাম এসব থেকে উত্তর দিতে হয় এবং এটা সবার জন্যই সহজসাফিসিয়েন্সিতে দুটা স্টেইটমেন্ট থেকে প্রশ্নটা উত্তর করা যাবে কিনা এটাই ডিসাইড করতে হয়

রাইটিং পার্ট:
রাইটিং পার্টে দু ধরণের প্রশ্ন থাকে সাধারণত
একটাতে ফ্রি-রেসপন্স প্রশ্ন অন্যটাতে থিমেটিক রাইটিং বা এধরণের কিছু থাকেএখানে ১৫% থেকে ২০% গ্রেড থাকেকম সময়ের মধ্যে গ্রামাটিকেল ভুল ছাড়া মিনিংফুল লিখার প্র‌্যাকটিস করতে হবে

এখন আসা যাক কিভাবে প্রস্তুতি নিবেন সে প্রশ্নে: আইবিএ-র এমবিএ-র প্রিপারেশান নিতে গেলে সুবিধা হচ্ছে আপনি একই প্রিপারেশানে ঢাবি-র ইভনিং এমবিএ, বিআইবিএম-র এমবিএম, এমআইএসটি-র এমবিএ, প্রাইভেটের এমবিএ এমনকি বিসিএসের অনেকাংশেই প্রিপারেশান হয়ে যাবে
প্রিপারেশানের জন্য দুই ধরণের পরীক্ষার্থীর জন্য দুধরণের টাইমস্কেলযদি আপনার ইংরেজী ভাল/মোটামোটি ভাল জানা থাকে তাহলে ২/৩ মাস যথেষ্ঠযদি তা না থাকে তাহলে আগে আপনাকে ৫/৬ মাস সময় ইংরেজী ভাল জানার জন্য ব্যয় করতে হবেতারপর এমবিএ ভর্তির জন্য প্রিপারেশান নিতে হবেআর যারা জিআরই/জিম্যাট দিয়েছেন বা প্রিপারেশান নিয়েছেন এবং জিম্যাটে ৬০০ আর জিআরই-তে ম্যাথে ৭৭০+ এবং ভারবালে ৫০০+ পেয়েছেন বা পাওয়ার মত যোগ্যতা আছে তাদের জন্য ১সপ্তাহের প্রিপারেশান যথেষ্ঠ

ইংলিশ ভাল না থাকলে ভাল করার জন্য কুম্ভকর্ণ নিকের জিম্যাট পোস্ট থেকে কপি করছি
ইংলিশে ইমপ্রোভ করার এটা সাধারণ গাইডলাইনকারো যদি ডিটেলস দরকার হয় তাহলে কমেন্টে জবাব দেওয়া যাবে

"আপনাকে আগে জানতে হবে আপনার ইংলিশ স্কিলস কেমন
যদি ভাল না হয় তাহলে জিমেটে ভাল করা সম্ভব নাযদি ইংলিশ স্কিলস ভাল না হয় তাহলে ৬ মাস প্রথমে ইংলিশ স্কিলস ভাল করতে হবেএজন্য আপনি ওয়ার্ড পাওয়ার মেইড ইজি বা ওয়ার্ড স্মার্ট বইগুলো পড়ে ভাল ভোকাবুলারি আয়ত্বে আনতে হবেসাথে সাথে ইংলিশ ফিকশান, নিউজপেপার, ম্যাগাজিন, জার্নাল এসব পড়তে হবেযেকেউ যদি ৪-৬ মাস এভাবে সিস্টেমেটিক্যালি চেষ্টা করে তাহলে খুব ভাল ইংলিশ স্কিলস আয়ত্বে আনতে পারবেইংলিশ তো আরবীর মতই একটা ভাষাবাংলাদেশের অশিক্ষিত লোকজন কোনদিন আরবী না জেনে মিডল ইস্টে গিয়ে ছয় মাসেই আরবী শিখে ফেলতেছে! তাহলে ইংলিশ না পারার কোন কারন নেই।"

"ইংলিশ ভাল না খারাপ সেটা বুঝার জন্য যেকোন ইংলিশ ডেইলির এডিটরিয়াল পেজে কলামগুলো পড়ে দেখুন
যদি আপনি ভাল বুঝতে পারেন আর খুব কম সংখ্যাক শব্দই আপনার অজানা থাকে তাহলে এমবিএ-র জন্য আপনাকে মাথা ঘামাতে হবেনাএটুকু ইংলিশ দিয়েই আপনি ভাল করবেন।"

প্রিপারেশান প্ল্যান:
আপনার ইংলিশ উপরের লেভেলে আছে এটা ধরে নিয়ে এগুচ্ছি
প্রেপের জন্য আপনার ২/৩ মাস সময় লাগবেপ্রথমেই ভোকাবুলারির কথাই আসিসাইফুর'স এমবিএ বইয়ে ভোকাবুলারি যেগুলো দেওয়া আছে সেগুলোই যথেষ্ঠঅথবা ওয়ার্ডস্মার্ট ১ আর ২ পড়তে পারেনভোকাবুলারির জন্য ফ্ল্যাশকার্ড বানাতে পারেনআপনার যদি অলরেডী মোটামোটি লেভেলের ইংলিশ জানা থাকে তাহলে সাইফুর'সের ৮০% শব্দই আপনার জানা থাকবেবইটার এন্টনিমস পড়ার দরকার নেই, সিননিমস পড়লেই এন্টনিমস জানবেনতবে ওয়ার্ড শিখার সাথে সাথে আপনাকেকোন ইংলিশ ম্যাগাজিন, ডেইলী, উইকলি এরকম কিছু নিয়মিত পড়তে হবেনাহয় শিখা ওয়ার্ডগুলো কোনদিন মনে থাকবেনাতাছাড়া এটা আপনাকে রিডিং কম্প্রিহেনশান, সেন্টেন্স কম্প্লেশান বা অন্যান্য অংশেও ব্যাপক সাহায্য করবেসাইফুর'সের গ্রামার পরশনে যা আছে তাও নিয়মিত পড়ুন এবং বুঝুনসাথে সাথে রাইটিং প্র‌্যাকটিস করুনফ্রি-হ্যান্ড লিখে ইংরেজী জানা কাউকে আপনার লেখা দেখান, তিনি যাতে ভুলগুলো বের করে দিতে পারেনম্যাথের জন্য সাইফুর'সেরই বইয়ের ম্যাথ পার্টটা ভালমতে প্র্যাকটিস করুনম্যাথে যদি সমস্যা হয় তাহলে কাপলান জিআরই/জিম্যাট ম্যাথ ওয়ার্কবুকটা ইন-ডেপথ প্র্যাকটিস করতে পারেনওখানে কিছু শর্টকাট দেওয়া আছে সেগুলো দেখুনএনালিটিকাল এবিলিটি-র জন্য প্রিন্সটন রিভিউ ক্র্যাকিং দ্যা জিআরই থেকে পাজলের ট্যাকটিকসগুলো শিখে নিনওখানে ভালভাবে এক্সপ্লেইন করা আছেক্রিটিকাল রিজনিং-এর জন্য প্রিন্সটন রিভিউ ক্র্যাকিং দ্যা জিম্যাট দেখতে পারেনডাটা ইন্টারপ্রেটেশানের জন্যও প্রিন্সটন রিভিউ জিআরই আর সাফিসিয়েন্সির জন্য সেইম প্রিন্সটন রিভিউ ক্র্যাকিং দ্যা জিম্যাট থেকে পড়ুনসেখানে শর্টকাটগুলো ভালমতে প্র্যাকটিস করুন

প্র্যাকটিস করুন প্রচুর:
আইবিএ-র ভর্তি পরীক্ষায় সময় খুব কম, তাই পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে প্রচুর প্র্যাকটিস করুন
নাহয় সেখানে গিয়ে জানা প্রশ্নও ভুল করবেন প্র্যাকটিসের জন্য সবচেয়ে ভাল হচ্ছে আইবিএ-র এমবিএ-র আগের বছরের প্রশ্নপত্রসেগুলো সময় ধরে ম্যাথের জন্য ৩০/৩৫ মিনিট, ভারবালের জন্য ৩০/৩৫ মিনিট, এনালিটিকালের জন্য ১৫/২০ মিনিট, রাইটিংয়ের জন্য ২৫/৩০ মিনিট এভাবে সময় দিয়ে ঘড়ি হাতে অনুশীলন করুনএটা যাস্ট একটা সাধারণ গাইডলাইনআপনি সময়টাকে একটু এদিক ওদিক করে দেখতে পারেনপ্রথম প্রথম অনেক বেশি সময় লাগবে, তবে আস্তে আস্তে প্র্যাকটিস করতে থাকলে সময় কমে আসবে অনেকযারা এগুলো প্র্যাকটিস করে ফেলেছেন অথচ হাতে এখনও প্রচুর সময় আছে তারা অফিসিয়াল জিম্যাট, অফিসিয়াল জিআরই, ব্যারন্‌স জিম্যাট/জিআরই থেকে প্র্যাকটিস করতে পারেনতবে সাইফুর'সের এমবিএ বইয়ের অনুশীলনীগুলো করতে ভুলবেননা যেন

পরীক্ষা:
এমবিএ পরীক্ষা সাধারণত ডিসেম্বরে হয়
এক্সিকিউটিভটা বোধ হয় মার্চের দিকে হয়পরীক্ষা ২ ঘন্টার হয়বেশিরভাগ সময়ই ১০০ মার্কের হলেও আগে অনেক সময় ৯০, ৯৫ বা ১০৫/১১০ এরকমও হয়েছেম্যাথে থাকে ৩০%, ভারবালে ৩০% এনালিটিকালে ১৫/২০% আর রাইটিং-এ ২০/২৫%এখন মনে হয় রাইটিং-কে আলাদাভাবে পরীক্ষার শুরুতে ৩০ মিনিট সময়ে শেষ করতে হয়, তারপর অন্যপার্টগুলোর জন্য ১.৫ ঘন্টা সময় থাকে। (কেউ জানলে একটু আওয়াজ দিয়েন।) পরীক্ষায় গিয়ে সময় যাতে ভালভাবে ব্যবহার করতে পারেন সেজন্য বাসায় পরিক্ষার কন্ডিশানকে সিমুলেট করে প্রচুর প্র্যাকটিস করেন, সময় কিরকম লাগতেছে, ভুল কিরকম হচ্ছে সেগুলো খেয়াল করে উন্নতি করার চেষ্টা করনেপরীক্ষার যথেষ্ঠ আগেই সেন্টারে যাবেন কারন সিটিং এরেন্জমেন্টে মাঝে মাঝে ঝামেলা হয়, যদিও খুব কমপরীক্ষা সাধারণত শুক্রবারে হয়, তাই ট্রাফিক জ্যাম থাকেনাফরম যেকোন সময় নিলেও জমা দিবেন ডেডলাইনের ২/৩ দিন আগেতাহলে আপনার সিট বিজনেস ফ্যাকাল্টি বা আইবিএ-তেই পড়বে যেখানে সিটিং এরেন্জমেন্ট আর পরীক্ষার পরিবেশ ভালপরীক্ষায় কিছুতেই নার্ভাস হবেননা, কারন কঠিন প্রশ্ন হলে সবার জন্যই কঠিনআপনি এভাবে প্রেপ নিলে ভাল না করার কোন উপায় নেইতাছাড়া ভাল না করলেও আপনি যতবার ইচ্ছে ততবার পরীক্ষা দিতে পারবেনএটা মনে রাখলে আর নার্ভাসনেস ফিল করবেননাআরেকটা যেটা করতে পারেন সেটা হচ্ছে আইবিএ-র এমবিএ আর বিবিএ ভর্তি পরিক্ষা মোটামোটি একইযদিও এমবিএ-র প্রশ্নপত্র একটু কঠিন হয় বিবিএ থেকে, তবে প্যাটার্ণ একই থাকেবিবিএ-র পরীক্ষাটা হয় এমবিএ-র এক-দেড়মাস আগেযেকেউ, যেকোন বয়সে সেখানে পরীক্ষা দিতে পারে আপনি একটা ফরম নিয়ে বিবিএ পরীক্ষাটা দিয়ে ফেলেনআপনার এমবিএ ভর্তি পরীক্ষার জন্য একদম আসল পরিক্ষা হলে পরীক্ষা দেওয়ার প্রস্তু্তি হয়ে যাবে! পরে এমবিএ পরীক্ষার সময় ফ্যামিলিয়ারিটির জন্য ভাল করবেন

ইন্টারভিউ:
রিটেনে সাধারণত ২৫০-৩০০ জনকে সিলেক্ট করে
এদএর মধ্য থেকে ইন্টারভিউর মাধ্যমে ১৩০-১৫০ জনকে ফাইনালি এডমিশান অফার দেয়ইন্টারভিউতে আইবিএ-র ৫/৬ জন শিক্ষক থাকেনতবে প্রশ্ন করে ২/৩ জনইন্টারভিউর জন্য এক্সিকিউটিভ ড্রেস পড়ে যাবেনপ্রশ্নগুলো স্ট্রেইটফরোয়ার্ডআপনি কেন এমবিএ করছেন, আপনার ব্যাকগ্রাউন্ড এসব জিজ্ঞেস করবেআর আপনার গ্র্যাড/আন্ডারগ্র্যাডের একই ডিসিপ্লিনের কোন শিক্ষক থাকলে তিনি সে বিষয়ে ব্যাসিক প্রশ্ন করবেন সমসাময়িক পত্রপত্রিকায় হট কোন ইস্যু নিয়ে (রাজনৈতিক না, বিজনেস রিলেটেড) প্রশ্ন করতে পারেননা জানলে, দুঃখিত আমি জানিনা বলবেন, ভরং করবেন না অথবা কথা ঘুরাবেন নাইন্টারভিউর ম্যাক্সিমাম টাইম সাধারণত ১৫ মিনিটআপনার লিখিত ভাল হলে ইন্টারভিউতে কম পেলেও আপনি চান্স পেয়ে যাবেন যাবার আগে বাসায় কিছুটা প্র্যাকটিস করতে পারেন


শর্টকাট:
যারা এত সিরিয়াসলি প্রেপ নিতে চাননা বা নিজের কনফিডেন্স নিয়ে চিন্তিত তাদের জন্য বলছি
আইবিএ-র প্রশ্নগুলো আসে অফিসিয়াল জিম্যাট গাইড, জিআরই বিগবুক, ব্যারন্‌স জিআরই আর জিম্যাট থেকেমুখস্তবিদ্যা ভাল থাকলে এখানকার সবপ্রশ্ন মুখস্থ করে ফেলেনএকদম উত্তরসহ মুখস্থসাথে আগের বছরের প্রশ্নগুলো ভালমতে প্র্যাকটিস করেন৮০% প্রশ্ন কমন পড়ার ৯৫% গ্যারান্টি!! তবে কমন না পাইলে আমাকে মারতে আইসেননাআমি এই পদ্ধতি সাপোর্ট করিনাউপরের ডিটেলস পদ্ধতিটাই কাজে লাগান, ভবিষ্যতে অনেক কাজে দিবে





ডিসক্লেইমার:
যারা ঘুমকে হারম করে, দিন-রাত এক করে, নাওয়া-খাওয়া এক করে, ছোটা-বড় বাথরুম বন্ধ করে, বন্ধু-বান্ধব আত্বীয়-স্বজন বন্ধ করে, টিভি-সিনেমা বন্ধকরে, ইহ জগৎ-পরজগৎ ভূলে গিয়ে, বই-খাতা কাগজ-কলম এক করে, ৩৬৫ দিন পড়াশুনা করে আই.বি.এ তে এডমিশন দিতে চান তারা দয়া করে ওই রকম ভাবে আইবিএ তে ডোকার চিন্তা না করাই ভাল


কারন এর মানে হলে আপনার সেই পরিমান মেধা নেই, আর সেই মানের মেধা না থাকার ফরে ১ বছর সবকিছু বাদ দিয়ে পড়ার ফলে চান্স পাওয়া যেতে পারে কিন্তু ইনকোর্স/ক্লাস টেষ্ট পরিক্ষার জন্য তো ১ বছর টাইম পাবেন না

সুতরাং ধরাটা সেখানেই খেতে হবে
অথচ বেশীর ভাগ ছেলে মেয়েই অত্যন্ত মেধাবী যারা ২/৩ মাসের বেশী না পড়েই চান্স পায়অল্প মেধা নিয়ে অধিক মেধাবীদের সাথে লড়তে যাওয়া ঠিক নাফেল মানেই বের করে দেওয়া, বিকল্প কোনো সুযোগ নেই

বহু ছাত্র দেখেছি ১বছরের ঘুম হারাম করে চান্স পেয়ে পরে আর কোর্স শেষ করতে পারে না
তখন সত্যিই খারাপ লাগে, আর তার মত হতাশ অন্য কাউকে হতে দেখি নি

বহু বছর ধরে আমার নিজের দেখা পরবর্তীতে কোর্স থেকে বাদ পড়া ছেলেদের পরিসংখ্যানের উপর ভিত্তি করে পরামর্শটা দিলাম


যারা চেষ্টা করছেন সবার জন্য আর্শিবাদ রইল
চান্স পেলে দেখা হবে

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন