ল্যাপটপ কেনার আগে পরে (Tips)



সবজায়গায় এখন পরিবর্তনের হাওয়া। বিশেষ করে প্রযুক্তি বাজারে পরিবর্তনের হাওয়াটা একটু বেশি। এক সময়ের ঢাউস কম্পিউটার পরিবর্তন হয়ে বাজারে আসে ডেস্কটপ কম্পিউটার। এখন ডেস্কটপ কম্পিউটারের বাজার দখল করছে ল্যাপটপ কম্পিউটার। কয়েক বছর আগেও ল্যাপটপ ছিল সাধারণের নাগালের বাইরে। ব্যবসায়ী এবং আইটি বিশেষজ্ঞদের নাগাল পেরিয়ে ল্যাপটপ প্রায় সর্বস্তরের মানুষের হাতের নাগালে পেঁৗছে গেছে। সবসময় বহন করা যায় বলে তরুণ-যুবক, অফিস কর্মকর্তা সবার কাছেই জনপ্রিয় এই যন্ত্রটি।


কেনার আগে


* ল্যাপটপ কেনার ক্ষেত্রে বাজেট বড় একটি বিষয়। বাজারে ল্যাপটপের প্রায় সব ব্র্যান্ডই ভালো। তাই ব্র্যান্ডের চেয়ে ল্যাপটপ কেনার আগে দেখুন সাধ্যের মধ্যে কোন মডেলের ল্যাপটপে আপনি সবচেয়ে ভালো কনফিগারেশন পাচ্ছেন।



* কেনার আগে ভেবে দেখতে হবে কি কাজে ল্যাপটপ কিনবেন। কাজের ধরন অনুযায়ী ল্যাপটপের কনফিগারেশন ঠিক করা উচিত। যেমন : গেম খেলা বা গ্রাফিক্সের কাজ করতে চাইলে উচ্চ গতিসম্পন্ন হাই কনফিগারেশনের ল্যাপটপ কেনা উচিত। আবার বেশি মেমোরি প্রয়োজন এমন কোনো সফটওয়্যার ব্যবহার না করলে সাধারণ কাজের জন্য কম বাজেটের সেলেরন প্রসেসরের ল্যাপটপ কেনাই যথেষ্ট। কনফিগারেশন নির্ধারণের ব্যাপারে প্রসেসরের ক্লক স্পিডের দিকে বেশি লক্ষ্য রাখতে হবে।


* ল্যাপটপের ক্ষেত্রে ব্যাটারি ব্যাকআপ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই কেনার আগেই দেখে নেওয়া দরকার এর ব্যাটারি কতটুকু সময় ব্যাকআপ দিতে পারে। আপনার যদি আউটডোরে ল্যাপটপ বেশি ব্যবহার করার প্রয়োজন হয় তাহলে লক্ষ্য রাখুন ব্যাটারির ব্যাকআপ যেন একটু বেশি হয়।


* এখন অনেক জায়গায়ই স্বল্পমূল্যে ব্যবহৃত (সেকেন্ড হ্যান্ড) ল্যাপটপ পাওয়া যায়। এ ধরনের ব্যবহৃত ল্যাপটপ কেনার আগে ভালোভাবে ভাবুন। কারণ সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপ বিক্রির সময় বিক্রেতারা অনেক ত্রুটির কথা চেপে যান। ওয়ারেন্টি বা বিক্রয়োত্তর সেবা না থাকায় এসব ল্যাপটপ কেনা উচিত নয়।


কেনার পর সতর্কতা


* ল্যাপটপ বহনের জন্য বিশেষভাবে তৈরি ব্যাগ ব্যবহার করুন। এসব ব্যাগ ল্যাপটপকে বাইরের আঘাত থেকে রক্ষা করতে পারে। এছাড়া ভ্রমণে ল্যাপটপ বহন করতে কাঁধে ঝুলানোর সুবিধাযুক্ত (অনেকটা স্কুল ব্যাগের মতো) ব্যাগ ব্যবহার করতে পারেন।


* ল্যাপটপ বেশিক্ষণ কোলের উপর রেখে ব্যবহার করা উচিত নয়। বেশ কিছুদিন আগে একদল গবেষক ল্যাপটপ ব্যবহারকারীদের মাঝে এক জরিপ চালিয়ে দেখেছেন, যারা কোলের ওপর রেখে টানা অনেকক্ষণ ল্যাপটপ ব্যবহার করেন তাদের প্রজনন ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।


* ল্যাপটপে বিল্ট-ইন কিছু ডিভাইস আছে যেমন_ ব্লু-টুথ, ওয়াই-ফাই, ইনফ্রারেড ইত্যাদি। প্রয়োজন না থাকলে ল্যাপটপ ব্যবহারের সময় এসব ডিভাইস বন্ধ করে রাখুন। এতে ব্যাটারির শক্তি কম খরচ হবে।


* ল্যাপটপে গেম খেলা বা কোনো কিছু টাইপ করার জন্য এক্সটার্নাল কী-বোর্ড এবং মাউস ব্যবহার করুন।


* ঘরে বা বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুবিধা আছে এমন স্থানে সরাসরি বিদ্যুৎ ব্যবহারের মাধ্যমে ল্যাপটপ চালান। প্রত্যেকটি ল্যাপটপের ব্যাটারির একটি আয়ু আছে। একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক বার চার্জ হওয়ার পর এ ব্যাটারিটি নষ্ট অর্থাৎ ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে যায়।


* ল্যাপটপ ডেস্কটপের মতো একটানা ব্যবহার করা ঠিক নয়। বেশ কয়েক ঘণ্টা ব্যবহার করার পর ল্যাপটপ কিছু সময় বন্ধ রাখা উচিত। এতে ল্যাপটপটি ভাল থাকবে।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন